শুধু নারীর নয়, সন্তান গ্রহণে পুরুষেরও বয়স সীমা আছে

Slider বিচিত্র

প্রথমে ভাল একটা চাকরি, এরপর ক্যারিয়ার গুছানো। তারপর ঘরবাড়ি একটু সাজিয়ে গুছিয়ে বিয়ে।

এরপর সম্পর্কটাকে একটু গুছিয়ে কয়েকবছর পর সন্তান। ফলে সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করতে করতে ৩৫ বছর পার হয়ে যায় অনেক পুরুষেরই।
এতদিন ধারণা করা হত সন্তান গ্রহণের জন্য শুধু মেয়েদেরই বয়স সীমা থাকে, পুরুষের নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সের পরে সন্তান নিলে বার্থ ডিফেক্ট থাকার সম্ভাবনা থাকে কিংবা প্রিম্যাচিউর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৪০ মিলিয়ন শিশুর ওপর করা এই গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ বছর বয়সের পরে শুক্রাণুর মান কিছুটা কমে যায়।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের প্রফেসর এবং গবেষক মাইকেল এইসেনবার্গ জানান, শিশুর জন্মগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর জন্য মায়ের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা হতো এতদিন। কিন্তু সুস্থ সন্তানের জন্য চাই টিম সাপোর্ট। বাবার বয়সের প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, বাবার বয়স ৩৫ পেরুলে শুক্রাণুর মান কমে বার্থ ডিফেক্টের ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ঝুঁকি বয়সের সাথে আরও বাড়তে থাকে ৪০ এবং ৫০ বছরের পরে। কারণ, প্রতি বছর বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুক্রাণুর ডিএনএর গঠনগত পরিবর্তন হয়।

একটি সুস্থ সন্তান জন্মের জন্য সুস্থ ডিম্বাণু এবং সুস্থ শুক্রাণুর প্রয়োজন। বেশী বয়সী পুরুষের কম বয়সী স্ত্রী হলেও সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে থাকে। তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, অনাগত শিশুর সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে ৩৫ বছরের আগেই সন্তান নেয়া উচিত পুরুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *