সকালে খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদের উপকারিতা

Slider লাইফস্টাইল

কিন্তু জানেন কি হলুদ ওষুধ হিসেবেও দারুণ কাজ করে। কাঁচা হলুদ বহু রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখবে, যদি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মধুর সঙ্গে একটু কাঁচা হলুদ খেতে পারেন, তাহলে কিছুদিন পরে নিজেই এর সুফল টের পাবেন। নিচে রইল কাঁচা হলুদের গুণাগুণের কিছু নমুনা-
১) আপনার কি ক্রমশই ওজন বাড়ছে। হলুদ কিন্তু বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ কারকিউমিন, শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। এবং শরীরের কলাগুলোকে বাড়তে দেয় না।

২) কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সর মিশিয়ে, সেই মিশ্রণ মুখে মাখুন ফেস প্যাক হিসাবে। নিয়মিত লাগালে বলিরেখা দূর করতে তা সাহায্য করতে পারে।

৩) কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলার খোসা একসঙ্গে বেটে সেই মিশ্রণ স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।প্রাকৃতিক উপায়ে তক্বের জেল্লা ফেরাতে পারে এই স্ক্রাবার।
৪) হলুদের মধ্যে ফিনোলিক যৌগিক কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৫) যাঁরা ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন তাদের কাছে কাঁচা হলুদ দারুণ উপকারী একটি জিনিস। কাঁচা হলুদ বাটা, আঙ্গুরের রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে ব্রনের উপরে লাগান। একটু পরে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ মিলিয়ে যাবে এবং এতে ইনফেকশনেরও ভয় থাকবে না।

৬) সূর্যের তাপে ত্বকে ট্যান এসেছে। তাহলে কাঁচা হলুদ বাটার মধ্যে দই মিশিয়ে লাগান। পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে।

৭) সর্দি-কাশি হলে হলুদ এক অব্যর্থ ওষুধ৷ কাশি কমাতে হলে এক টুকরো কাঁচা হলুদ মুখে রাখুন। এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়েও পান করতে পারেন। দেখবে খুব তাড়াতাড়ি আরাম পাবেন।

৮) গা-হাত পা-এ ব্যথা হলে দুধের মধ্যে একটু হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টের ব্যথা হলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে প্রলেপ দিতে পারেন। দেখবেন আরাম পাবেন।

৯) আয়ুর্বেদিক মতে, হলুদ নাকি রক্ত শুদ্ধ করে। তাই হলুদের ফুলের পেস্ট চর্ম রোগ দূর করতে সাহায্য করে বলে শোনা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *