রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে অভিনেত্রীকে মারধর!

বিনোদন ও মিডিয়া

rastaএবার মুম্বাইয়ের ব্যস্ত রাস্তায় ব্যবসায়ী ও ড্রাইভারের থাপ্পড়ের শিকার হলেন আরেক অভিনেত্রী। এর আগে বলিউডের টিভি অভিত্রেী গওহর খানকে ভরা মঞ্চে থাপ্পড়ের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি আরেক জন অভিনেত্রীর ওপর এই ঘটনা ঘটলো।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির থেকে গাড়িতে মুম্বাইয়ের জুহুর ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মারাঠি অভিনেত্রী যোগিতা দান্ডেকর। এ সময় যানজট পড়লে হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে দুজন ব্যক্তি নেমে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ি থেকে যোগিতাকে নামিয়ে হঠাৎ একটি থাপ্পড় দেন। এরপর থাপ্পড়ের পর থাপ্পড় চলে। সেই সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে এই কাণ্ড।

অভিনেত্রীকে থাপ্পড় মেরে রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন ওই দুই নিগ্রহকারী ব্যক্তি। তারা হলেন, ব্যবসায়ী হংসরাজ সুরানা এবং তার গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুমার বিদ্যানাথ।

ঘটনাটি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী যোগিতা দান্ডেকর জানান, মুম্বাইয়ের রাস্তায় তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধরের সময় তিনি চিৎকার করলেও তাকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেননি। অথচ সামনে তখন শতাধিক লোক। তিনি নিজেই নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালান। পরে পুলিশ এসে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ থানায় নিগ্রহকারীদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুরানা ও কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার পিঠে মারাত্মক ভাবে আঘাত করেছেন সুরানা। তবে থেমে থাকেননি তিনিও। কলার টেনে পাল্টা আঘাত করেছেন।

অভিনেত্রী যোগিতা দান্ডেকরের সাহসিকতার পরিচয় অবশ্য এর আগেও সবাই দেখেছে। ২০১১ সালে আন্না হাজারের সমর্থনে সারা গায়ে জাতীয় পতাকা একে নিজের ‘টপলেস’ ছবি প্রদর্শন করে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, সুরানা মুম্বাইয়ে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মালিক। তবে ওই অভিনেত্রীর ওপর তার এই আক্রোশের কারণ এখনও জানা যায়নি। মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন ৯) সত্যনারায়ণ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অভিনেত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই সুরানা ও তার গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় (হেনস্থা, অশালীন আচরণ এবং জোরজবরদস্তি আঘাত করা) মামলা দায়ের করা হয়েছে। জামিন না পাওয়া পর্যন্ত তারা পুলিশি হেফাজতেই থাকবেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *