বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিছু যানের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন ও ব্যয়বহুল বিমান। দ্য রিচেস্ট’র প্রতিবেদন অনুযায়ী নিচে তুলে ধরা হলো তেমন ৫ টি ব্যয়বহুল সামরিক যানের তথ্য।
১. জেরাল্ড ফোর্ড
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড নির্মাণে ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এটি ১,১০৬ ফুট লম্বা। এটি রাডারে ধরা পড়ে না। দুটি রানওয়ে রয়েছে এর ওপরে। জাহাজটিতে পাঁচ হাজার মানুষ কাজ করেন, তাদের মধ্যে চার হাজার মেরিন সেনা ও নাবিক। এর ওজন এক লাখ টন। ৮০টি বিমান ধারণক্ষমতা রয়েছে এটির।
২. কুইন এলিজাবেথ
যুক্তরাজ্যের বিমানবাহী রণতরী এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯.৩ বিলিয়ন ডলার।
এর দৈর্ঘ্য ৯১৮ ফুট। ৬৫ হাজার টন ওজনের এ বিমানবাহী রণতরীটি ১০ হাজার মাইল চলতে পারে কোনো জ্বালানি না নিয়েই। জাহাজটির চারটি শক্তিশালী জেনারেটর রয়েছে। এগুলো একসাথে চালু করা হলে এটি দ্রুত গতিতে চলতে এবং পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
৩. ডিডিজি ১০০০ জুমওয়াল্ট-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার
প্রাথমিকভাবে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হলেও পরবর্তীতে নানা অস্ত্রে সজ্জিত করতে গিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ডিডিজি ১০০০ জুমওয়াল্ট-ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের নির্মাণব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত বিলিয়ন ডলার। আর এতে যোগ করা হয়েছে বিশ্বখ্যাত রেইলগানও। এছাড়া এটি শত্রুর রাডারেও সহজে ধরা পড়বে না।
৪. এইচএমএস অ্যাসটিউট
৫.৫ বিলিয়ন ডলারের এ সাবমেরিনটি একটি নিমিজ ক্লাস সাবমেরিন। এটি ৩০ নট বেগে চলতে পারে। এর টর্পেডো ৩০ মাইল দূর থেকেও শত্রুপক্ষের জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। এর মিসাইলের পাল্লা এক হাজার মাইল। এছাড়া নানা আধুনিক যন্ত্রপাতিও রয়েছে এতে।
৫. চার্লস ডি গাউলি
চার বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্রান্সের এ বিমানবাহী রণতরিটি। এটি বাস্তবে ১৯৮৬ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হয়। তবে নানা কারণে এটি কাজ শুরু করতে পারেনি। এরপর নানা সমস্যা কাটিয়ে সম্প্রতি পারমাণবিক শক্তিচালিত এ জাহাজটি কাজ শুরু করেছে।