চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যে বাড়িতে জঙ্গি ও র্যাবের মধ্যে গোলাগুলি ও বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়ির মালিক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক মাজহার চৌধুরী। বাড়ি ভাড়া দেয়ার আগে ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র ও জাতীয় তথ্য নেয়ার কথা থাকলেও জঙ্গিদের কাছ থেকে তার কিছুই নেননি তিনি।
এদিকে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অজ্ঞতানামাদের আসামী করা হয়।
জানা যায়, চৌধুরী ম্যানশন নামের ৫ কক্ষের ওই বাড়িটি গত ২৮ সেপ্টেম্বর নারী ও পুরুষসহ ৪ জন ৫ হাজার টাকায় ভাড়া নেন। বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার সময় তাদের কারও থেকেই কোন পরিচয়পত্র বা অন্য কোন ডকুমেন্ট জমা নেননি বাড়ি মালিক মাজহার চৌধুরী। বাড়িটি কেয়ারটেকার দেখভাল করতেন।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হাসান জানান, প্রতি তিনমাস পরপর ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র ও বিস্তারিত তথ্য থানায় জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সোনাপাহাড়ের ওই বাড়ির মালিক কোন তথ্যই আমাদের কাছে জমা দেয়নি।
মামলা দায়ের-
আমাদের মিরসরাই প্রতিনিধি জানান, জেএমবির সদস্যদের গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জোরারগঞ্জ থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবেদ আলী জানান, অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন নারী-পুরুষকে আসামী করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনেয় মামলাটি দায়ের করা হয়।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ডিএডি আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
প্রসঙ্গত, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের চৌধুরী ম্যানশন নামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালায় র্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অভিযানে আত্মঘাতি বিস্ফোরণে দুই জঙ্গি নিহত হয়। নিহতদের পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযান শেষে সেই বাসা থেকে তিনটি পিস্তল, একটি একে-২২ রাইফেল, বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও দুই জনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক, কেয়ারটেকারসহ এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নিয়েছিল। যাদের আটক করা হয়েছিল তারা শনিবার দুপুরে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানা গেছে।