ভারত কড়া অবস্থান নেওয়ায় পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হলো দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অনুরোধ নিয়ে। এমনকি, এই আলোচনা সংগঠিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই মধ্যস্থতাকারির ভূমিকা নিতে বললেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
কিন্তু ফের পাকিস্তানের এই আবেদন খারিজ করে দিল যুক্তরাষ্ট্র। কারণ পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসের আবহাওয়া বজায় রেখেছে সীমান্তে। ভারতের পক্ষ থেকে একাধিকবার তা তুলে ধরা হয়েছে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিদেশের বিভিন্ন সম্মেলনের মঞ্চে। যার সাম্প্রতিক নিদর্শন দেখা গিয়েছিল বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের স্থান ত্যাগের মধ্য দিয়ে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সচিব মাইক পম্পে ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে আবেদন জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের কূটনীতিক। কিন্তু তা সরাসরি খারিজ করে দিয়ে আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার ওপর জোর দিয়েছে পাকিস্তানকে। এই বিষয়ে শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘আমরা যখন আমেরিকাকে এই আলোচনার মধ্যস্থতাকারি হিসাবে চেয়েছিলাম তখন পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, কেন আমরা এটা করতে বলছি? আমরা তখন জানাই দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সীমান্তের পশ্চিমদিকে এগুতে চাই। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না ভারতের সহযোগিতা ছাড়া।
এটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নয়। ’
কিন্তু আমেরিকার পক্ষ থেকে পরিষ্কার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের এই প্রস্তাব। সেখানে বলা হয়েছে, এটা আমেরিকার পক্ষে সম্ভব নয়। পাকিস্তানকেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের উদ্যোগ নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। যার ফলে ফের বিপাকে পড়ে গেল পাকিস্তান। কারণ ভারতের একটাই শর্ত সন্ত্রাস বন্ধ না করলে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয়।