মৈত্রী এক্সপ্রেসে শ্লীলতাহানি, তদন্তের অবস্থা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

কলকাতা: ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে চলাচলকারি মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাংলাদেশি মহিলার শ্লীলতাহানির তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের তরফে তদন্তের ব্যাপারে খোঁজ খবর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রেলওয়ে পুলিশের শিয়ালদহ ডিভিশন এই ঘটনার তদন্ত করছে।

প্রায় আট মাস কেটে গেলেও তদন্তের কাজ খুব বেশি এগোয় নি বলে জানা গেছে। তবে কিছুদিন আগে অভিযোগকারি মহিলার জবানবন্দী নেবার জন্য রেলওয়ে পুলিশ আইনমাফিক লেটারস রেগোটরি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে তাদের সেই আবেদনে তথ্যগত ভুল থাকায় সেটি ফেরত এসেছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে তদন্তকারি সংস্থা। নতুন করে লেটারস রেগোটরি পাঠানো হচ্ছে। জানা গেছে, আবেদনের নথিতে ঘটনার তারিখ এক জায়গায় ২২ জানুয়ারি এবং অন্য জায়গায় ২১ জানুয়ারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই আবেদন সব নথিসহ রাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রক হয়ে তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্তকে পাঠানো হবে। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে ¯থানীয় আদালতের মাধ্যমে অভিযোগকারির বয়ান ও সব নথি ফেরত পাঠানো হবে শিয়ালদহ আদালতে। গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশের এক মহিলা পরিবার সহ ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসের প্রথম শ্রেণির একটি কামরায় ভ্রমন করেছিলেন। এ টু কামরায় এই পরিবারের আসন সংরক্ষন করা হয়েছিল। অভিযোগ, মহিলা যখন শৌচাগারে যান তখন সেখানে ট্রেনে টহলরত এক জওয়ান তার শ্লীলতাহানি করে। মহিলা পরিবারের সদস্যদের তা জানালে ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়। পরে গেদে স্টেশনে অভিযাগকারির স্বামী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা থাকায় বিএসএফ অভিযুক্ত জওয়ানকে সাসপেন্ড করে। রেলওয়ে পুলিশের শিয়ালদহ ডিভিশন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত জওয়ানের বয়ান তদন্তকারিরা রেকর্ড করেছে। এদিকে বিএসএফও আলাদাভাবে তদন্ত করছে। বিএসএফর কাছে অভিযুক্ত জওয়ান সব ঘটনা অস্বীকার করেছে। তবে বিএসএফ সম্প্রতি অভিযোগিকারির সঙ্গে বিজিবির মাধ্যমে কথা বলেছে বলে জানা গেছে। অভিযোগকারিকে দর্শনা সীমান্তে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই বিএসএফের তদন্তকারিরা মহিলা ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *