নরসিংদীতে পৃথক দুইটি স্থানে ভাতিজার হাতে চাচাসহ দুইটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ও দুপুরে শিবপুর উপজেলার পূর্ব সৈয়দনগর গ্রামে ও মনোহরদীর হিন্দু পাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।
এসব ঘটনায় শিবপুর ও মনোহরদী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। নিহতরা হলো মনির হোসেন (৩৫), ও জায়েদা আক্তার (৩৫)।
পুলিশ জানায়, শিবপুর উপজেলার পূর্ব সৈয়দনগর গ্রামে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শাহাদাৎ হোসেনের সাথে তার চাচার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে চাচা ভাতিজার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতির হয়। এসময় ভাতিজার এলোপাথারি কিল ঘুষিতে চাচা মনির মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় ভাতিজা শাহাদাৎ হোসেন (২৫) ও শহিদুল্লাহ (৫০), রীনা বেগম (৪৫) এর বিরুদ্ধে শিবপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ভোর রাতে নরসিংদীর মনোহরদী হিন্দু পাড়ার উত্তরা ভবন থেকে জায়েদা আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর অর্ধ গলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জায়েদা পার্শ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের চরনগরদী গ্রামের তাইজ উদ্দিনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১ বছর পূর্বে তাইজ উদ্দিনের সাথে মনোহরদী পৌরসভার হারদিয়া এলাকার মিয়া হোসেনের মেয়ে জায়েদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মনোহরদীর উত্তরা ভবনে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী জায়েদা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করলেও স্বামী তাইজ উদ্দিনের কোন কাজ কর্ম করতো না। এ নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মনোহরদী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নিহত জায়েদার বোনের সাথে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ না থাকায় তার ভাড়া বাসায় খোঁজ নিতে যায়। বাসায় গিয়ে ডাকা-ডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার কাছে যেতেই তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ এবং বারান্দার মেঝেতে রক্ত দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।