বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাঙালী নদীর পেচিবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৮০ মিটার অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সাথে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে পেঁচিবাড়ি গ্রামের বসতভিটা ও আবাদি জমি।
এছাড়া অব্যাহত ভাঙনের ফলে বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচলকারি প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ সালে বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ি থেকে শেরপুর উপজেলার সাহেব বাড়ি ঘাট পর্যন্ত বাঙালী নদীর পূর্ব তীরে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেন সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিআইডিপি) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
এদিকে, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পেচিবাড়ি গ্রামের দক্ষিণ অংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। অব্যাহত ভাঙনের ফলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মাটির তৈরি বাঁধের প্রায় ৮০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে বাঁধের ওপর দিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ওপর দিয়ে প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া নদী ভেঙে পেচিবাড়ি গ্রামের বসতভিটা ও আবাদি জমির দিকে ধেয়ে আসছে। এতে জনমনে ভাঙন আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পেচিবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র জানান, নির্মাণের পর থেকে ঈঁদুরের গর্ত, অতিবৃষ্টি এবং নদীর পানি প্রবল তোড়ে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতি হয়।
অনেক দিন আগে বাঁশের প্যালাসাটিং এবং সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধের কিছু অংশে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হয়। তবুও বাঁধের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের ফলে বাঁধের ওপর দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরিভাবে মেরামত করা না হলে বাঁধটি ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার আশংকা রয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশিদ বলেন, বাঙ্গালী নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ভাঙা স্থান সমূহ পরিদর্শন করে সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে বাঁধের সংস্কার কাজ করা হবে। তবে কোথাও জরুরি অবস্থা হলে সেখানে দ্রুত কাজ করা হবে।