কলাপাড়ায় তিনটি ট্রলার ডুবিতে ২ জেলে নিখোঁজ

Slider গ্রাম বাংলা

গভীর সমুদ্র থেকে তীরে আসার পথে তিনটি মাছ ধর ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুরে এফবি পলাশ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের তান্ডবে নিমজ্জিত হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার গভীর রাতে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে সোনার চর নামক স্থানে এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি নায়েতহবিল ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা জেলেরা দীর্ঘ সময় ভাসমান থাকার পর অপর দু’টি মাছ ধরা ট্রলারে জেলেরা উদ্ধার করে বুধবার বিকেলে মৎস্যবন্দর মহিপুরে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় নশু মিয়া (২৬) ও রহমান সিকদার (৩২) নামের দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকৃত জেলেরা সবাই সুস্থ্য আছেন রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন এফবি পলাশ ট্রলারের মাঝি আলী হোসেন।

স্থানীয় ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে মৎস্যবন্দর আলীপুরে-মহিপুরে ফিরে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া এফবি মায়ের দোয়া ও এফ বি নায়েতহবিল নামের দুই ট্রলারের ২০ মাঝিমাল্লাকে এফ বি আল-আমিন নামের একটি মাছধরা ট্রলার মৎস্যবন্দর মহিপুরে নিয়ে আসে। বুধবার দুপুরে ডুবে যাওয়া এফ বি পলাশ দুপুর ২টা দিকে এফবি সিকদার ট্রলারের মাঝি ফোরকান মিয়া উদ্ধার করে শেষ বিকালে মহিপুর ঘাটে নিয়ে আসেন।

এফ বি মায়ের দোয়া ট্রলারটি রাঙ্গাবালী উপজেলার বড় বাইসদা ইউনিয়নের মো.জাফর মিয়ার। মালিক নিজেই ঔ ট্রলারের মাঝি ছিলেন।

একই এলাকার এফ বি নায়েতহবিল ট্রলারের মালিক মো.বাহাউদ্দিন। এফ বি পলাশ ট্রলারটি গলাচিপা উপজেলার গোলখালী এলাকার মো.পলাশ হাওলাদারের বলে জানা গেছে।
উদ্ধাকারী এফবি সিকদার ট্রলারের মাঝি ফোরকান মিয়া জানান, নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে তারা ট্রলার নিয়ে মৎস্যবন্দর মহিপুরে ফিরে আসছিলেন। সোনার চরের বাহিরে ডুবে যাওয়া ট্রলার দেখতে পেয়ে তারা সেখানে যান। ডুবে যাওয়া ট্রলারের সাথে জেলেদের ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দাস জানান, বর্তমানে সাগর উত্তাল। জেলেরা মাছ ধরার বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তীরে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *