রাজশাহীতে উন্নয়নের সাড়ায় নৌকার বিজয়

Slider রাজশাহী

নজরুল ইসলাম তোফা:: রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ১৩৮কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বিকেল চারটায় শেষ হয়েছে। এবং সে ভোট গ্রহণের পরেই সুষ্ঠু ভাবে গণনা শেষে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মেয়র পদপ্রার্থী, জনগণের বিপুল ভোটে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেসরকারি ফলা ফলের ভিক্তিতেই বিজয়ী হয়েছেন।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৯০২ ভোট। ১৩৮ কেন্দ্রের প্রত্যেকটির ভোট গণনা শেষেই নৌকা মার্কা পেয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ ভোট এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে ৭৮ হাজার ৪৯২ ভোট পেয়েছেন। এই দুই মেয়র প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ৮৭ হাজার ৯০২ ভোট।

রাসিকের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর ১৬০ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এসিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন এবং পুরুষ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন।
সকাল থেকেই রাজশাহী বাসীর জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। রাজশাহীতে ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল। এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, এত সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ তিনি আগে কখনও দেখেননি।

বাদশা আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কারও কোনো সমস্যা হয়নি।
এই নির্বাচনে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জয়ী হয়ে বলেন, গত ৫ বছরে রাজশাহীর কোনো উন্নয়ন হয়নি। গত ‘২০১৩ সালে আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এতদিনে অনেক উন্নয়ন হতো। কিন্তু আমি মেয়র না হওয়ায় রাজশাহী বাসীর জীবন থেকে পাঁচটি বছর নষ্ট হয়ে গেল। কেনো উন্নয়নই হলো না। শুধুই এই গত পাঁচ বছর চেয়ে দেখেছি, কিছু করার ছিল না। আমরা আর পিছিয়ে যেতে চাই না। উন্নয়ন করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এবং তার সহিত রাজশাহীর জনগণকে। সবাই আমাকে ভাালোবেসেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। এখন রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য দোয়া করবেন।

লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *