মাঝে মাঝে পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায় : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

রাজনীতি

image_161098.s.-mohosin-aliসমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেন, ‘আমি সম্প্রতি কুমিল্লায় গিয়ে দুই কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছি। সমাজের কল্যাণে ভালো কাজ করেছি। কিন্তু সাংবাদিকরা এই কথা কোথাও লেখেনি। তারা সবসময় লেখে আমি কী করলাম, কোথায় বসলাম, কীভাবে বসলাম ও সিগারেট খেলাম কি না ইত্যাদি। সাংবাদিকতা আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? মাঝে মাঝে পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায় যে, স্টেন গানটা কেন ছেড়ে দিলাম? কেন স্বাধীনতা যুদ্ধে যে অস্ত্র ধরেছিলাম তা ছেড়ে দিলাম।’
রাজধানীর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এ্যান্ডোক্রাইন ও মেটাবলিক ডিজঅর্ডার গবেষণা ও পুনর্বাসন সংস্থা (বারডেম হাসপাতাল) মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। রোগী কল্যাণ সমিতির ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী ও গ্রোথ হরমোন রোগের সচেতনতা বিষয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের কারণেই জিএসপি সুবিধা বাতিল হয়েছে এমন দাবি করে মহসিন আলী বলেন, ‘সাংবাদিকরা অকথ্য ভাষায় যা খুশি তা লেখালেখি করে, মাথা খারাপ হয়ে যায়। ভালো জিনিস পত্রিকায় আসে না। আমি কী করলাম? কী ভাবে বসলাম? কেন সিগারেট খেলাম? এ নিয়ে হাস্যরস ছাপা হয়। আপনারা দেখেন, কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সাংবাদিকতা?’
তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজার ঘটনা নিয়ে সবাই কুৎসা রটালো। আমেরিকা জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে। আজকে এটার জন্য আমরা কত কাঠ-খড় পোড়াচ্ছি! সাংবাদিকরা সেদিন এ কথা চিন্তা করল না, আমরা লিখছি আর দেশটা কোথায় যাচ্ছে? ক্ষতিগ্রস্ত করে দিল সারা দেশটাকে। এ জন্য কী স্বাধীনতা এসেছে? সাংবাদিকরা দেশের ইকোনমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
সিগারেট খাওয়া প্রসঙ্গে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বারডেম হাসাপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহিম সেদিনও আমাকে অনেকবার সিগারেট ছেড়ে দিতে বলেছে। অনেক সময় সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি আবার সিগারেটের কাছে অনেক সময় হেরে গেছি।’
বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক ড. নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ড. এ কে আজাদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *