সাত খুন মালায় জবানবন্দি দিলেন র‌্যাবের আরেক কর্মকর্তা

Slider

image_160535.narayon gonj-1নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তুলে ধরেছেন হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে কিলিং মিশন থেকে শুরু করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার পুরো ঘটনা। আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লা হতে আবুল কালাম আজাদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুইজন বজলুর রহমান ও হাবিল নাছিরউদ্দিনও ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল তাদের মরদেহ শীতলক্ষা নদীতে ভেসে ওঠে। পরে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় র‌্যাব- ১১ এর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। পরে ৫ মে হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র দাসের বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে র‌্যাব-১১ এর তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে র‌্যাব সদর দপ্তরকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। পরে তিন কর্মকর্তাসহ অন্যরা গ্রেপ্তার হন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ৮ মে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডিআইজি আফতাব উদ্দিনকে প্রদান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে র‌্যাব। কমিটির অপর সদস্যরা ছিলেন র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারওয়ার, মেজর মোহাম্মদ সাদিক ও এসপি সাজ্জাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *