নাজিব রাজাকের বাসভবনে হঠাৎ পুলিশ, গ্রেফতারের আশংকা

Slider সারাবিশ্ব

117193_as-najib1305

ঢাকা:অকস্মাত মালয়েশিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বাসভবনে পুলিশ। এ নিয়ে মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তার বাসভবন ঘেরাও করা হয়েছে। খবর প্রকাশ হওয়ার পর পরই এমন কথা অস্বীকার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমস। এতে বলা হয়, বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি খবর প্রকাশ করে যে, নাজিব রাজাকের বিলাসবহুল বাসভবন ঘেরাও করেছে। তবে কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম এ কথা অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন এমন বাসায় গিয়েছিলেন তারা। তিনি বলেছেন, কোন ঘেরাও দেয়া হয় নি। একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যাপারে সেখানে অবস্থানরত সহায়তাকারী পুলিশদের কাছ থেকে তথ্য পেতেই পুলিশ গিয়েছিল সেখানে। তার কথায়, আমরা শুধু ওই সিসিটিভি ফুটেজটি যাচাই করতে গিয়েছিলাম। শনিবার রাতে তিনি বলেন, এ নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয়। ভুয়া রিপোর্ট। এ সময় তিনি ওই খবরের সূত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। পার্টি প্রিভুমি বারসাতু মালয়েশিয়ার দু’জন যুবনেতা পুলিশের কাছে এর আগে অভিযোগ করে যে, কিছু ভ্যানভর্তি করে অনেক বাক্স বৃহস্পতিবার ওই এপার্টমেন্টে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পুলিশের সিনিয়র দু’জন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্পর্শকাতর কিছু ডকুমেন্টের সন্ধান করেছে পুলিশ। ড. মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে পাকাতান হারাপান সরকারের আশঙ্কা ওইসব ডকুমেন্ট দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযানে গেছে পুলিশ। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, বিশেষ ডিজাইনের কিছু হ্যান্ডব্যাগ বহন করার জন্য কয়েক ডজন বাক্স সরবরাহ করা হয়েছে ওই এপার্টমেন্টে এবং সেটা দিয়েছে সরকারি যানবাহন। নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোজমাহ মানসুর থাকেন ওই এপার্টমেন্টে। এমন অবস্থায় ওই এপার্টমেন্টকে ঘেরাও করে রাখতে দেখা যায় প্রায় ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে। তাদেরকে সাদা পোশাকে সহায়তা করে কমপক্ষে এক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ওই এপার্টমেন্টে অবৈধ কিছু আছে কিনা সরকার শুধু তেমন ডকুমেন্টই খুঁজেছে। তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশে অনিহা প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এসব স্পর্শকাতর ডকুমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে মাহাথির সরকার। তারা আরো মনে করে এসব ডকুমেন্ট দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে ওই এপার্টমেন্ট থেকে কোনো ডকুমেন্ট উদ্ধার হয়েছে কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন তিনি। শুধু জানান তখনও অপারেশন চলছিল। পুলিশের মতে, ওই এপার্টমেন্টের ভিতরে অবস্থান করছেন নাজিব পরিবারের সদস্যরা। তবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শুধু এটা নিশ্চিত করেছেন যে, ওই এপার্টমেন্টের ভিতরে শুধু নাজিব রাজাকের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন। অভিযানে জড়িত থাকা এক কর্মকর্তা বলেছেন, যাদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হয়েছে তারা হলেন ভেরি ভেরি ইম্পর্টেন্ট পারসনস। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিলাসী জিনিসপত্রের প্রতি প্রথমে আগ্রহ দেখান নি। তবে নাজিব রাজাকের প্রশাসনের তদন্ত করা যায় এমন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট খুঁজছিলেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *