সারাদেশে বজ্রপাতে নিহত ৯

Slider গ্রাম বাংলা

116345_Untitled-4

116345_Untitled-4116345_Untitled-4

ঢাকা: বজ্রপাতে মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। আজ সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে নিহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। এছাড়া মারা গেছে ৯টি মহিষ। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন মানুষ।

মৌলভীবাজারে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতে মফিজ মিয়া (৩০) নামের এক জেলে ও আবু সামাদ (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিন জন।

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকাল ও দুপুরে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরে বজ্রপাতে নবকুমার দাস (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতে ওই কৃষক মারা যায়। নিহত নবকুমারের বাড়ি উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে। নবকুমারের স্বজনরা জানান, ছায়ার হাওরে বোরো ধান মাড়াই করার সময় বজ্রপাতে আহত হন নবকুমার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ৯নং ধারা ইউনিয়নে রুহী পাগাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে শারমিন আক্তার (১৬) নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার পিতার নাম সোহেল মিয়া। সে নিজপাড়া এসএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে বাগিচাপুরের মাহফুজ মাষ্টারের বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরার পথে পাগারিয়ার কৃষি রাজ্জাকের বাড়ির প্রশ্চিম পার্শ্বে বজ্রপাতের কবলে পড়ে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক শারমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। শেরপুরের নকলা, শ্রীবরদী ও সদর উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন নকলা উপজেলার মুচারচর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম (৩২), শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামের কুব্বাত আলী (৬০) ও সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামের মো. আবদুর রহিম (৫০)।

উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে মুষলধারে বজ্রসহ বৃষ্টি পড়ছিল। সকাল ১০টার দিকে নকলা উপজেলার মুচারচর গ্রামে খেত থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার সময় শহিদুল ইসলাম বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হবিগঞ্জ বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। সোমবার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার কবিরপুর গ্রামের নাদু বৈষ্ণবের ছেলে ধানকাটা শ্রমিক অধীর বৈষ্ণব (২৭), তেলঘরি গ্রামের বীরেশ্বর বৈষ্ণবের ছেলে বসু বৈষ্ণব (৩২)। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের চরাঞ্চলে বজ্রপাতে ১০ মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মহিষের বাথান দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা দুই রাখাল আহত হয়েছেন। আজ ভোর রাতে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা চরে এ ঘটনা ঘটে। আহত রাখাল নিবারণ ঘোষ ও নিমাই ঘোষকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *