নির্বাচন কারো মেয়ের বিয়ে নয়: আমীর খসরু

Slider বাংলার মুখোমুখি

115906_amir

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন কারো মেয়ের বা ছেলের বিয়ে নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে এক যুব সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কি কারো মেয়ের বিয়ে যে, আপনারা কাউকে আমন্ত্রণ জানাবেন আর কাউকে জানাবেন না। এটা কি সরকারের পারিবারিক অনুষ্ঠান। এটা ১৬ কোটি মানুষের অনুষ্ঠান। তারা নির্ধারণ করবে এই অনুষ্ঠান কিভাবে হবে।

আমির খসরু বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ আশা করে ভোটের মাধ্যমে তাদের একটা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হবে। কিন্তু মানুষের আশা থাকলেও ভোটের মাধ্যমে যে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হবে তা কেউ বিশ্বাস করেনা। কারণ আজ বাংলাদেশে নির্বাচনের জায়গা নেই। একটা নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। তারা সরকারের কথা ছাড়া কোন কাজ করে না। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু তারা সেটার ব্যবহার করছে না। তারা নির্বাচন করার জন্য একটা বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি করে দিয়েছেন। এই নির্বাচন কমিশনের কোন আত্ম সম্মান জ্ঞান নেই। নিজেদের কাজের মধ্যে বাইরের একটা শক্তি যোগ করেছে।

তিনি বলেন, একটা পকেট মার যখন পকেট মারতে আসে। তখন তার সাঙ্গে অনেক লোক থাকে। তারা সবাই নিজেদের কাজ করে। মানুষদের ব্যস্ত রাখে। এর মধ্যে পকেটমার মানুষের পকেট মেরে চলে যায়। তেমন নির্বাচন কমিশন ১৬ কোটি মানুষের পকেট মারছে। তাদের সঙ্গে আছে দুদক, আদালত, ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। কিন্তু সেটা অনুপস্থিত। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখছি না। একটি দলকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের নীল নকশা দেখছি আমি। সব মিলিয়ে দিনের শেষে বাংলাদেশে কোন নির্বাচনের পথ দেখছি না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আজম খান- নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে হবে। ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশে আর ফিরে আসবেনা। বিএনপি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। এই সংকটে বিএনপি বার বার আলোচনার ডাক দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। কারণ এই সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই। আগামী নির্বাচন খালেদা জিয়াকে ছাড়া হবে না এটাই শেষ কথা। তাকে মুক্তি দিতে হবে। সকল দলের অংশ গ্রহণে নিরোপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন হতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, পৃথিবীর সব দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম কমছে। আর বাংলাদেশে বাড়ছে। আর বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, রমজানে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়া অযৌক্তিক। তিনি কি কোন কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষক। ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। একটা দায়িত্বশীল পদে থেকে ব্যবস্থা না নিয়ে যৌক্তিক অযৌক্তিক শেখাচ্ছেন। সিটি করপোরেশনে বিএনপি নেতাদের নজরদারি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন- আমি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য খুলনায় গিয়েছিলাম। সেখানে হোটেলে রাতে ঘুমাচ্ছি। এমন সময় হোটেল ম্যানেজারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ফোন করে বলা হয়েছে আমার রুমে কে কে ঘুমোচ্ছে সেটা জেনে আসতে। হোটেল কতৃপক্ষ জানিয়েছে রাত ১১ টার পর কোন গেস্টকে জাগানোর নিয়ম নেই। তখন বলে উনার ফোন রাত ২ টায়ও খোলা কেন এটা জেনে আসেন। তাদের নজরদারি এই পর্যায়ে পৌছে গেছে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *