এপ্রিলে ক্রসফায়ারে নিহত ২৮, ধর্ষণের শিকার ৫৬ নারী-শিশু

Slider বাংলার মুখোমুখি

115762_manob

ঢাকা: এপ্রিলে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে ২৮ জন। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৬ জন নারী ও শিশু। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা তাদের মাসিক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় এ চিত্র তুলে ধরেছে। আজ প্রকাশিত এ গবেষণায় দেখা যায়- ক্রসফায়ারে নিহতদের মধ্যে পুলিশের হাতে ২৩ জন ও র‌্যাবের হাতে ৫ জন। তাদের পর্যবেক্ষনে বলা হয়েছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৬ জন নারী ও শিশু । এদের মধ্যে শিশু ২৭ জন।

৮ জন নারী। তাছাড়া ৭ জন নারী ও ৮ জন শিশু গণ ধর্ষণের শিকার হন । ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৬ জনকে। এছাড়াও ২৩ জন নারী শ্লীলতাহানীর শিকার হয়। এপ্রিলে আত্মহত্যা করে ২৯ জন । এদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান, রাগ ও যৌন হয়রানী, পরীক্ষায় খারাপ ফল, এমনকি পছন্দের পোষাক কিনতে না পারার কারনেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ।

পারিবারিক কলহে এপ্রিল মাসে নিহত হন ৪২ জন, এদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন ,নারী ৩০ জন। বিভিন্ন কারনে এ মাসে স্বামীর হাতে নিহত হন ৩ জন নারী, আহত হয় ৫ জন।

এ মাসে ৫ জন নারী যৌতুকের কারনে নিহত হয় । পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে দ্বন্ধ, রাগ, পরকীয়া সহ বিভিন্ন পারিবারিক কারনে এই সব মৃত্যু হয়। এছাড়া সামাজিক অসন্তোষের শিকার হয়ে এপ্রিল মাসে নিহত হয়েছেন ২৬ জন ! আহত হয়েছেন ৩০৫ জন। বেশীর ভাগ ঘটনাই ঘটে জমি জমা, দুই গ্রামের খেলা নিয়ে সংঘর্ষ বা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এপ্রিল মাসে দেশে সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত হন ১৫৫ জন ও আহত হয়েছেন ৩৭ জন। রিপোর্টে বলা হয়েছে- এ মাসে মাদকের প্রভাবে বিভিন্ন ভাবে নিহতের সংখ্যা ৩ জন, আহত হয় ৩ জন। সড়ক দূর্ঘটনায় এ মাসে নিহত হয় ২১৯ জন ও আহত ৩০১ জন। তাছাড়া পানিতে ডুবে, অসাবধানবশত, বিদ্যুৎপৃস্ট হয়ে, বজ্রপাত এ মৃত্যুবরন করেছে ৭৭ জন। গণপিটুনিতে নিহত হয় ৪,আহত হয় ৪ জন। তাছাড়া ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী কর্তৃক আহত হয় ৪ জন। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় ১১ জনের। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দমন অভিযানের নামে গনগ্রেফতার করা হয় ১২৪৮ জনকে। এ মাসে নিখোজ হয় ৯ জন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা মনে করে আইনের সঠিক প্রয়োগ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন, অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নৈতিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন পর্যায়ে কাউন্সিলিং, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ভালো কাজের জন্য পুরষ্কার, সামাজিক সংগঠন গুলোর বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম স্কুল কলেজগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, ইত্যাদির মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব বলে মনে করে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *