খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুর ৪ ঘন্টা পর প্রচার শুরু

Slider ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার মুখোমুখি

15245648041

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে সব ধরনের প্রচার স্থগিত করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বেলা একটায় নিজের দেওয়া সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে প্রচারে নামলেন তিনি।

আজ সকালে নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, গতকাল বুধবার রাত আটটা থেকে আজ ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নগরজুড়ে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। এ ছাড়া অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকলে পরিণতি হবে ভয়াবহ বলেও ডিবি হুমকি দিয়েছে। এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত থাকবে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেন।

মঞ্জু ঘোষণা দেন, নির্বাচনী কাজে বাধা ও অভিযানের প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসবেন। তিনি আসার আগে এসব কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে তাঁর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বর্জন করা হবে। প্রয়োজনে সরকার ও সিইসিকে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে বলে জানান মঞ্জু।

তবে সকালের সেই ঘোষণা থেকে সরে এসে আজ খুলনা নগরীর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী প্রচার শুরুর ঘোষণা দেন মঞ্জু। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। তাই সেখান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই।
এই ঘোষণার পর বিএনপির সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামেন মঞ্জু।

খুলনা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম কামরুল ইসলাম বলেন, নগর ডিবি থেকে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর ভয়ভীতি দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সোনালী সেন বলেন, গতকাল অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সত্য নয়।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যদি কারও বিরুদ্ধে মামলা থাকে আর পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেপ্তার করে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। এটা কোনোভাবেই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আওয়ামী লীগও এ ব্যাপারে কিছু জানে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *