ঢাকা: রাশিয়া কানেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সমন নোটিশ পাঠানো হতে পারে। ওই নোটিশে তাকে গ্রান্ড জুরিদের সামনে উপস্থিত হতে বলা হতে পারে। এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তকারী স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পকে যে তলব করা হতে পারে এ বিষয়ে তার আটনিজীবীদের সঙ্গে মার্চেই কথা বলেছিলেন রবার্ট মুয়েলার। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, রবার্ট মুয়েলার বলেছিলেনÑ ট্রাম্পকে এমন তলব করা হলে তিনি তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে বাধ্য।
তাই এবার প্রথমবারের মতো মনে হচ্ছে, ট্রাম্পকে তদন্তকারীদের সামনে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করাতে পারেন স্পেশাল কাউন্সেল মুয়েলার। মার্চে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে মুয়েলারের যে আলোচনা হয়েছিল তাতে কি কথা বলেছিল তা নিয়েও মিডিয়ায় কথা রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, মার্চের ওই বৈঠকে মুয়েলারকে ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানিয়ে দিয়েছিলেন রাশিয়া কানেশকন নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে বাধ্য নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু ঘটনা এখন উল্টে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প যদি এমন সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান তাহলে মুয়েলার টিম তাকে সমন পাঠাতে পারেন। প্রেসিডেন্টকে কি কি প্রশ্ন করা হতে পারে এ বিষয়ে তার আইনজীবীদেরকে অধিকতর তথ্য দিতে রাজি হয়েছেন তারা। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রেসিডেন্টের সাবেক আইনজীবী জন দোউদ বলেছেন, মার্চের বেঠকে মুয়েলার উল্লেখ করেছেন একটি কথা। তা হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশ্নের মুখোমুখি করাতে বাধ্য করা হতে পারে। ওই বৈঠকের দেড় সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন জন দোউদ। তিনি তদন্তকারীদের বলেছেন, এই তদন্ত কোনো খেলা নয়। আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাজে হাত দিচ্ছেন। এখন কথা হলো এসব বিষয় ফাঁস করলো কে? রাশিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পকে যেসব প্রশ্ন করা হবে তার কমপক্ষে ৪০টি প্রশ্ন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। এ রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে মঙ্গলবার তিনি টুইট করেছেন।
তাতে বলেছেন, মিডিয়ার কাছে জিজ্ঞাসিতব্য প্রশ্ন ফাঁস একটি গর্হিত কাজ। যে অপরাধ কখনো ঘটে নি সেই রকম একটি অপরাধের বিচারে এ ঘটনা বড় রকমের বাধার সৃষ্টি করতে পারে। তবে সবার আগ্রহ ট্রাম্পকে কি কি প্রশ্ন করা হতে পারে। এ নিয়ে কাজ করছেন রবার্ট মুয়েলার। তিনি প্রশ্নের একটি তালিকা করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে গত মে মাসে এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কমিকে বরখাস্ত করা থেকে শুরু করে সাবেক এটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসকে বরখাস্ত করা পর্যন্ত নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন তোলা হয়েছে ট্রাম্পের সাবেক নির্বাচনী ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্টের বিষয়ে। জানতে চাওয়া হয়েছে ম্যানাফোর্টের রাশিয়া কানেকশন সম্পর্কে ট্রাম্প কি জানতেন। এ ছাড়া ট্রাম্পের নির্বাচনী বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতামুলক বিষয়টিও প্রশ্নে থাকতে পারে বলে রিপোর্ট করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এ পত্রিকাটি বলেছে, তারা প্রেসিডেন্টের আইনজীবী নন এমন একটি সূত্র থেকে এসব প্রশ্নের তালিকা পেয়েছে। এর জবাবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র রাজ শাহ বলেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টকে ট্রাবলিং বলে আখ্যায়িত করেছেন।