ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষএকাদশ শ্রেণীরণা অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে অন্যভাবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মূল আসনে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কোটায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা মেধায় ভর্তির সুযোগ না পেলে তাদের বিশেষ ভাবে ভর্তি করা হবে। এছাড়া তিন দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। শতভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে বিশেষ অগ্রাধিকারের (কোটা) আবেদনকারী থাকলে মোট আসনের অতিরিক্ত (মুক্তিযোদ্ধা-পাঁচ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর-তিন শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দপ্তরসমূহ দুই শতাংশ, বিকেএসপি- শুন্য পাঁচ এবং প্রবাসী শুন্য পাঁচ শতাংশ) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। গতকাল সোমবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সকল বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, সকল বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, বুয়েটের তিনজন অধ্যাপক উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশ নেয়া সকলের মতামতের ভিত্তিতে ‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা’ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সভা শেষে নীতিমালার বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা তুলে দেয়া হয়েছে। শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি কলেজে তিন শত আসন থাকলে শতভাগ মেধায় ভর্তি করা হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে কোটাধারীদের কেউ সুযোগ না পেলে তাদের মূল আসনের বাইরে সংশ্লিষ্ট কলেজ নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করতে পারবেন। বিগত দিনে দেখা গেছে ১১ শতাংশ কোটা সংরক্ষন থাকায় অনেক কলেজে আসন শুন্য থাকে। মেধাবীরা বঞ্চিত হয়।