নাক-কান ফুটানোর সুফল

Slider লাইফস্টাইল

untitled-1_2108

কন্যা সন্তান জন্মানোর কয়েক মাসের মধ্যেই তার নাক এবং কান বিঁধানো হয়। অবশ্য শুধু মেয়েরাই নয় অনেক ছেলেরাও আজকাল কান বিঁধিয়ে দুল পরে। অনেকেই হয়তো ফ্যাশনের জন্য এটা করে থাকে। কিন্তু কান বিঁধানোর ফলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। দেখে নিন সেগুলো কী কী-

• রিপ্রোডাক্টিভ অর্গান এবং ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখে- কানের লতিতে বিভিন্ন প্রেশার পয়েন্ট আছে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কানের লতির মাঝখানটা ফুটো করলে রিপ্রডাক্টিভ সিস্টেম ভালো থাকে। এছাড়াও কান বিঁধালে শরীরের ইমিউন সিস্টেম আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

• চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে- অ্যাকুপাংচার অনুযায়ী কানের লতির মাঝখানের অংশে চাপ দিলে দৃষ্টি শক্তি ভালো হয়।

• একাগ্রতা বৃদ্ধি করে-কান বিঁধানোর ফলে মাথার ব্রেনের একটা বিশেষ অংশে স্টিমুলেশন হয়‚ এর ফলে একাগ্রতা বাড়ে। এই কারণেই বাচ্চার জন্মের ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তার কান বিঁধানো হয়। কারণ এই সময় ব্রেনের ডেভেলপমেন্ট হয়।

• কানের স্বাস্থ্য ভালো রাখে-কানের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন প্রেশার পয়েন্ট আছে। অ্যাকুপাংচার বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রেশার পয়েন্টে ছেদ করলে Tinnitus বা সোজা বাংলায় কান ঝনঝনানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

• মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়- যারা সবসময় উৎকন্ঠায় ভোগেন বা অল্পেই ঘাবড়ে যান তাদের এর হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে কানের ফুটো।

• ওবেসিটির হাত থেকে মুক্তি দেয়- কানের লতিতে প্রেশার পয়েন্ট ছাড়াও আছে বিভিন্ন হাংগার পয়েন্ট। সঠিক পয়েন্টে ছেদ করা হলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শরীরে মেদ জমতে দেয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *