নিয়মিত হাঁটার উপকারিতা

Slider লাইফস্টাইল

h_0

সহজ ব্যায়ামগুলোর মধ্যে হাঁটা অন্যতম। প্রাকৃতিকভাবে সুস্থতা ও প্রাণবন্ত অনুভূতি পেতে নিয়মিত হাঁটার জুড়ি নেই।

জেনে নিন নিয়মিত হাঁটার কিছু উপকারিতা।

সুস্থ হৃদপিণ্ড :

হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় নিয়মিত হাঁটার ফলে। এছাড়া হাঁটার ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিআর কমে যায় ও ভালো কোলেস্টেরল এইচডিআর-এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে।

সুস্থতা :

ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তাররা নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেন। নিয়মিত হাঁটার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ :

আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কত কিছুই না করি। কত রকমের ব্যায়াম করি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে। তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান, তাহলে ৬০০ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে হবে প্রতিদিন। এটি একদিনের খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালরির চেয়ে বেশি। তাই যার ওজন ৬০ কেজি তিনি যদি প্রতিদিন ঘণ্টায় ২ মাইল গতিতে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। হাঁটার ফলে দেহের পেশীগুলো আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ে :

সাধারণত মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। ৬৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রতি ১৪ জনের মধ্যে ১ জনের স্মৃতিভ্রম হয়। আর ৮০ বা এর বেশি বয়সীদের ৬ জনের মধ্যে ১ জনের দেখা দেয় স্মৃতি হারানোর রোগ। তাই মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম অনুশীলনে। এতে ৪০ ভাগ পর্যন্ত ঝুঁকি কমে যায় স্মৃতিহানি হওয়ার। বয়স্কদের মধ্যে যারা সপ্তাহে অন্তত ৬ মাইল পথ হাঁটেন তাদের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে, এমনটাই দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায়।

জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমে :

শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমে যায় নিয়মিত হাঁটাচলা করলে। সাধারণত নারীদের শরীরের বিভিন্ন হাড় ও সংযোগস্থলে ব্যথা করে বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। তাই শরীরের জয়েন্টগুলোকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটুন।

পায়ের শক্তি বাড়ায় :

নিয়মিত হাঁটার ফলে পায়ের আঙুলেরও ব্যায়াম হয় এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ নড়াচড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ থাকে।

বাড়ে পেশীশক্তি :

হাঁটার সময় পায়ের সাথে দুহাতও সমান তালে চলে। আর এর ফলে হাতের প্রতিটি জয়েন্ট, ঘাড় ও কাঁধের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত হাঁটার ফলে ব্যাকপেইনের সমস্যা কমে যেতে পারে।

প্রাণবন্ত শরীর ও মন :

নিয়মিত সকালে হাঁটার ফলে শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে অক্সিজেনের প্রাণপ্রবাহে মাংসপেশীগুলো শিথিল ও রিলাক্সড হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *