বিসিবির চুক্তিতে নেই সৌম্য-তাসকিন-সাব্বির

Slider খেলা

311286_166

ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ছে। কয়েকদিন আগে এমন একটি খবর বের হয়েছিল। তারপর থেকেই গুঞ্জন ছিল চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে ২ জন। এরপর শোনা গেলো, ৪ জনকে বাদ দেয়া হচ্ছে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। ১৬ থেকে নামিয়ে সংখ্যাটা করা হচ্ছে ১২ জনে; কিন্তু গুঞ্জনের এটাও ঠিক হলো না। মোট ৬ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। বাদ পড়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ এবং সাব্বির রহমান।

শুধু ৬জন কমানোই নয়, ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর যে গুঞ্জন ছিল, সেটাও সত্য হয়নি। নতুন চুক্তিবদ্ধ ১০ ক্রিকেটারের কোনো বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। বুধবার বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।

ফ্র্যাঞ্চাইজির চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার রেকর্ড ভালো

বিদেশের মাটিতে, বড় কোন লীগে যখন দেশের খেলোয়াররা ভালো করেন, গর্বে বুক ভরে যায়। মোস্তাফিজুর রহমান সেই গর্বেরই একটা নাম। মঙ্গলবার আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে খুব একটা ভালো করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে ভক্তদের চাপা অভিমান আছে। কিন্তু এই অভিমান ভাঙার একটা অসাধারণ রেকর্ডও আছে এই কাটার মাস্টারের।

এবারের আইপিএলে দলবদল করে খেলতে নেমে সবগুলো ম্যাচেই তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। দারুণ বোলিং করেছেন। আর তার দল প্রতি ম্যাচেই শেষ বলে হেরেছে। মঙ্গলবার হলো উল্টো, মুম্বাইয়ের প্রথম জয়ের দিনে রান দিলেন উদারহস্তে। ৪ ওভারেই খরচ করলেন ৫৫। টি-টোয়েন্টির ৩ বছরের ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম তার।

মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের বোলিংটা কিন্তু ভালোই হয়েছে। ২০ ওভারে ১৬৭ রান তুলতে পেরেছেন কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সরা। দলের বাকি বোলাররা যেখানে বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছেন, সেখানে মোস্তাফিজ রান বিলিয়েছেন দেদার। অন্যরা ১৬ ওভারে মাত্র ১০৯ রান দিলেও মোস্তাফিজ একাই দিয়েছেন ৫৫ রান। প্রথম ওভারে ১৩, দ্বিতীয় ওভারে ১১, তৃতীয় ওভারে ১৩, শেষ ওভারে ১৮। ৪ ওভারে ১৩.৭৫ ইকোনমিতে ৫৫ রানে থাকলেন উইকেটশূন্য। এত বাজে বোলিং মোস্তাফিজ তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেই কখনো করেননি।

২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের পর আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া মিলিয়ে ৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। ২৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ৪৩টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ম্যাচে সব মিলিয়ে ৮৩টি উইকেট তার। মজার ব্যাপার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তুলনায় ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই যেন একটু ম্লান এই বাঁ হাতি পেসার। বাংলাদেশের হয়ে নেমে ২৪ ম্যাচে ৩৫ উইকেট। ১৮.৬০ গড়ে এক একটি উইকেট, প্রতি ১৫.৮ বল পরপর।

কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই ৪৩ ম্যাচে ৪৮ উইকেট। এক একটি উইকেট পেতে প্রায় ২০ বল (১৯.৯৪) দরকার হয়। ওভারপ্রতি রান ৭.০৫ থেকে ৭.০৯-এ উঠে যায়। গড়টাও ১৮.৬০ থেকে বেড়ে হয় ২৩.৫৪! মঙ্গলবার সে ধারা বজায় রেখেই যেন টি-টোয়েন্টি নিজের সবচেয়ে বাজে বোলিংটাও করে ফেললেন। পেছনে ফেললেন গত নভেম্বরে বিপিএলের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের হয়ে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার রেকর্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *