সোমবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অভিযান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে মন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে সাহায্য চাইতে আসেন তিন হতদরিদ্র অসুস্থ রোগি।
তাদের মধ্যে এতজন বিলকিস বেগম। তার মেয়ে বিথী। অ্যাসিড সন্ত্রাসের কবলে পড়ে দু’জনের মুখের আকৃতি পাল্টে গেছে। মেয়ের ডান হাত এমনভাবে ঝলছে গেছে যে পরে তার হাতের কবজি কেটেই ফেলতে হয়েছে।
আরেকজন মিজান। সড়ক দুঘর্টনায় আঘাত পাওয়ার পর হাঁটুর নিচে প্রায় পচন ধরেছে। এরা সবাই হতদরিদ্র। তাই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কিন্তু তাদের আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদককে কাছে পেয়ে সাহায্য চাইতেই সব শুনে নিজের গাড়িতে করে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান তিনি।
মন্ত্রী তার নিজ গাড়ির সামনের আসনে বসে দুই নারীকে পেছনের আসনে বসান। আর মিজানকে প্রটোকলের গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান।
বিলকিস বেগম জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায়। তার মামাকে অ্যাসিড মারতে এসে মা ও মেয়েকে অ্যাসিড মারে সন্ত্রাসীরা। মামা সেদিন ভয়ে ওই বাড়িতেই ছিলেন না। এমনকি মামা যেখানে ছিলেন সেখানেও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো বিচার পাননি তারা।
আজ মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সব খুলে বলার পর তিনি ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
বিথি জানান, গরিব হওয়ায় আমরা ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারিনি। কোথায় কী ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যায় তাও জানি না।
অন্যদিকে পায়ে দগদগে ঘা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজান। মন্ত্রী তাকে দেখে এগিয়ে যান। তার পা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। জানতে চাইলে সব খুলে বলেন মিজান। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী তাকে গাড়িতে তুলে নেন।
মন্ত্রীর সহকারীর একান্ত সচিব আবুল তাহের মো. মহিদুল হক তাদের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি জানান, তিনজনকেই ডাক্তার দেখানো হচ্ছে। ডাক্তার প্রয়োজনবোধ করলে তাদের ভর্তি করা হবে।