পানি সংকটে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

সারাবিশ্ব

image_159721.gঅগ্নিকাণ্ডে প্রধান পানি শোধনাগার বিকল হয়ে পড়ায় মালদ্বীপের বিভিন্নস্থানে গণঅসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী মালেতে পানি লবণ মুক্ত করার শোধনাগারটি বিকল হয়ে পড়ার পর আজ শনিবার পর্যন্ত রাজধানী মালে সুপেয় পানিবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাই ইয়ামিন জাতীয় সংকট নিরসনে সরকারকে সহযোগিতার পাশাপাশি ধৈর্যশীল ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, পানি সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ‘অব্যাহত ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করবেন।
এ ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত ও শ্রীলংকা রাজধানী মালেতে বিমান থেকে পানির বোতল ফেলা শুরু করেছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত সহায়তায় এগিয়ে আসছে। ভারত সরবরাহ বাড়াতে পানি শোধন সুবিধা সম্বলিত জাহাজও পাঠিয়েছে। এদিকে রাজধানীর যেসব স্থানে সরকার কঠোর রেশন পদ্ধতিতে জনগণের মাঝে পানির বোতল বিতরণ করছে গতকাল শুক্রবার সেখানে হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, সরকার এক লাখ ২০ হাজার রাজধানীবাসীকে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করবে। তবে কিছু পানি বিতরণ কেন্দ্রে বিদেশি শ্রমিকদের পানি দেওয়া হচ্ছে না- এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা থেকে আসা হাজার হোজার অভিবাসী শ্রমিককেও পানি সরবরাহ করা হবে।
এমন দুর্যোগের সময় মালদ্বীপের জনগণের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমও। এদিকে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে স্বাভাবিক পানি সরবরাহ শুরু করতে পাঁচ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। পানি সংকটের কারণে রাজধানী মালের অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। অনেক রাজধানীবাসী পানির জন্য পার্শ্ববর্তী দ্বীপে যাচ্ছেন। তবে পানি সংকটের কারণে দেশটির পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য দ্বীপে অবস্থিত পর্যটন রিসোর্টগুলোতে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পানি শোধন ব্যবস্থা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *