শ্যামলী পরিবহনের বাসচালকের হেলপার ছিলেন পাঁচ বছর আগে। গাড়িতে চাকরি করতে করতে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা পাচারে। সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাকে নিয়ে ইয়াবা পাচার করতে করতে হয়ে যান কোটিপতি। টাকা বিনিয়োগ করে মালিক হয়েছেন গাড়ি-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের। অবশেষে ইয়াবাসহ নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
তাঁর নাম নূরুল হুদা (৩৯)। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার খুটাখালী গ্রামের মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। তিনি থাকেন নগরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ করিম (২৭) প্রাইভেট কারচালক। জব্দ করা হয়েছে ওই প্রাইভেট কার। তবে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোহাম্মদ উল্লাহ নামে একজনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে নগরের ষোলশহর এলাকায় এ অভিযান চলে।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের শ্যামলী পরিবহনের বাসের হেলপার ছিলেন নূরুল হুদা। এ সময় তিনি টেকনাফ থেকে ইয়াবা পাচার করে চট্টগ্রামে এনে বিক্রি শুরু করেন। তাঁকে সহযোগিতা করতেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামে একজন। ধারাবাহিকভাবে ইয়াবা ব্যবসা করে তিনি পাঁচ বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। ওই টাকায় তিনি অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে একাধিক দোকান ও গাড়ি কিনেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শকের ভাষ্য অনুযায়ী, আসামি নূরুল হুদা গতকালও ১০ হাজার ইয়াবা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।