কোটার ফাঁকা পদ পূরণ হবে যেভাবে

Slider জাতীয়

5db1184e31ffbfb4cf821ffbce122393-5ac64c6096c2c

সব ধরনের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা না গেলে সেগুলো মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। এক মাস আগে নেওয়া এ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার এক আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলো বিশেষ কোটার অধীন কোনো জেলার বিতরণ করা পদের সংখ্যা থেকে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে ওই বিশেষ কোটার অপূরণ থাকা পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক নিজ নিজ বিশেষ কোটার (অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) জন্য করা জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার কোনো কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ওই পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে। এই দুই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও কোনো বিশেষ কোটার কোনো পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূরণকৃত পদগুলো জাতীয় মেধাতালিকার শীর্ষে থাকা প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূরণকৃত পদগুলো জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী নিজ নিজ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাতালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে। কোটাসংক্রান্ত অন্যান্য বিধান অপরিবর্তিত থাকবে।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৫৫ শতাংশ কোটায় নিয়োগ হয়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *