গাসিক নির্বাচন ভাবনা-১০: মনোনয়ন বানিজ্যে অর্থ বিনিয়োগ কানেকশন, গোয়েন্দা জালে!

Slider গ্রাম বাংলা

জাহাঙ্গীরের-‘সবুজ-সংকেত’-নিয়ে-মিশ্র-প্রতিক্রিয়া

ষ্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর: গাসিক নির্বাচনে প্রধান দুই দলের মনোনয়ন কে পাবেন তা নিয়ে চলছে এখন নানা ধরণের খেলা। তবে মনোনয়ন নিতে হলে টাকা লাগবে আর টাকার অংক কত তা নিয়ে নানা জনে দিচ্ছেন নানা মত। তবে এই সকল তথ্য প্রচার না অপ্রচার, সত্যিই টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না নিছক গুজব তা জানতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে প্রার্থীদের সকল গোপন পথ যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে নিজের জালে তুলে ফেলেছে সরকারী গোয়েন্দারা এমনটিই বলছে গোপন সূত্র।

একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারী গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নির্বচানী মাঠে নানা গুজব কাজ করছে। এ সকল গুজবের সঠিক তথ্য উদঘাটন না করতে পারলে গুজব সত্য অভিযোগে পরিণত হবে। তাই কোন প্রার্থী কত টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন নিচ্ছেন এবং তা সঠিক কি না তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

সম্প্রতি নির্বাচনী মাঠে কথা উঠেছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দিতে সহযোগিতা করছেন। আবার জাহাঙ্গীর আলম ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নিয়ে বলে দিয়েছেন। এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রীর ওবায়দুল কাদেরের একটি ঘনিষ্ট সম্পর্ক চাওড় হয়ে আছে। সুতরাং তিন দিক মিলালে জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়ন পেতে পারেন। তবে এই সব কানেকশনকে ঘিরে যে ধরণের অপপ্রচার চলছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকারী গোয়েন্দারা। এই কারণে এই সব কানেকশনে কোন টাকার লেনদেন আছে কি না! বা না হয়ে থাকলে, কেন গুজব এটাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন তারা।

অপরদিকে আজমত উল্লাহ খান বলছেন, আজমত উল্লাহ খানের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলে দিয়েছেন। সুতরাং মনোনয়নে কোন সমস্যা নেই। এ ছাড়া গাজীপুরের সকল এমপি, মন্ত্রী বা সিনিয়র নেতারা তার সঙ্গে আছেন। তাই মনোনয়ন পেতে কোন অসুবিধাই নেই।

এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুল আহসান সরকার রাসেলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, একটি প্রতীকে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে তবে পাবেন একজন। আওয়ামীলীগ একটি বড় দল এবং সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। তাই আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে বিবদমান দুই জনকে বাদ দিয়ে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে এমন নিশ্চয়তাও রাসেল পেয়েছেন বলে তার কর্মী সমর্থকেরা বলছেন।

নগরবাসী বলছেন, মনোনয়ন কে পেলো, কে পেলো না সেটা নয়, যিনি জনগনের কাছে নিরাপদ তাকেই ভোট দেয়া হবে। আর এ ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বিবেচনায় এনে তারপর প্রতীক নিয়ে ভাবা হবে।

আবার ভোটারদের আরেকটি অংশ বলছেন, দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়ে গেলে ভোটের মাঠে নতুন হিসেবে কষতে হবে। পুরাতন হিসেবে কাজ করলে চলবে না। তাই আর একটু সময় অপেক্ষা করতে হবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *