রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসঙ্ঘকে সম্পৃক্ত করবে মিয়ানমার : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

Slider জাতীয়

305899_195

 

 

 

 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করতে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইউএনএইচসিআরকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘদিন আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার কোনো চুক্তিতেই জাতিসঙ্ঘ বা ইউএনএইচসিআরকে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি ছিল না। প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআর থেকে সহযোগিতা নেয়ার কথা উল্লেখ করেছে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের সম্পৃক্তও করা হয়েছে। এখন মিয়ানমার সরকার ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করায় প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় একটি বড় অগ্রগতি হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করতে মিয়ানমার সম্মতির বিষয়টি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে জাতিসঙ্ঘ। এ সব ইতিবাচক পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠককে সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শাহরিয়ার আলম এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিস (বিআইআইএসএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে। আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে। এতে রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার ওপর জোর দেয়া হবে। বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে পৃথক একটি সাইডলাইন অধিবেশন হবে। ৬ মে অনুষ্ঠেয় এ সাইডলাইন অধিবেশনে রোহিঙ্গা সঙ্কটের ওপর আলোকপাত করা হবে। এছাড়া ৪ মে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।

তিনি বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ৪৫তম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মুসলিম বিশ্বে সঙ্ঘাত, বিভক্তি, উত্তেজনা ও অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে ইস্যুসমূহ শান্তি, সঙ্ঘাত, মধ্যস্থতা ও নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও উন্নয়ন, সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার এবং ওআইসির সংস্কার – এই চারটি ক্ষেত্রে ভাগ করে আলোচনার পর প্রস্তাব পাস হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতা জন্য ওআইসির সংস্কার খুবই প্রয়োজন। এ ব্যাপারে অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশও কাজ করছে। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই ইস্যুতে আলোচনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *