মো: আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন ; উত্তরা প্রতিনিধি : বাড়তি ওজন কমানো আসলে কিন্তু খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যদি না আপনি নিয়ম মেনে চলেন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী ৩০-এর পর ওজন বাড়তে থাকে। বিশেষ করে যাদের এক বা একাধিক সন্তান হয়। তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বেশি দেখা যায়। তবে বিবাহিত-অবিবাহিত যাই হোক না কেন, মাত্রাতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত ওজন শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। তাই ত্রিশের পর ওজন কমাতে নিয়ম মেনে চলতে হবে নারীদের।
ত্রিশের পর শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরের সঙ্গে মানানসই নিয়ম ও খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হবে।
খাবার :
ওজন কমানোর জন্য খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অকেনেই হয়তো অজানা বয়স ত্রিশের ঘরে আসতে আসতে কোন ধরনের খাবার শরীরে সহ্য হয়। মনে রাখবেন- তৈলাক্ত ও ‘জাংকফুড’ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার :
৩০ বছর বয়সের পর বিপাকের হার কমতে থাকে। তাই শরীরের জ্বালানির জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। যদি ওজন কমানোর চেষ্টা নাও করেন, তারপরও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
ব্যায়াম :
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে।সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব।
চাপ নিয়ন্ত্রণ :
কখনই মানসিক চাপ নেবেন না। মানসিক বা শারীরিক চাপে শরীর স্থূল হয়ে যায়। তাই চাপ কমায় এমন কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।
ঘুম :
সুন্দর দেহ ও স্বাস্থ্যের জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। ঠিকমতো ঘুম হলে সকালে অনেক বেশি উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করা যায়।
অনুপ্রাণিত থাকা :
কখনও কখনও প্রেরণার অভাব হতে পারে, যা ওজন কমাতে বাধা তৈরি করে। তাই অনুপ্রাণিত হতে বন্ধু বা পরিবারের সাহায্য নিন। ফলে আবেগতাড়িত হয়ে খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।..