পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নানা পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে বারবারই মতের অমিল হচ্ছিল টিলারসনের। মার্কিন প্রশাসনের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার আগ দিয়ে নতুন টিম চাচ্ছিলেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্কিন সময় মঙ্গলবার তার ঘোষণায় আরো জানিয়েছেন, পম্পেও’র জায়গায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন জিনা হ্যাসপেল।
আর জিনা হতে যাচ্ছেন সিআইএর প্রথম নারী প্রধান।
নতুন পদে আনুষ্ঠানিকভাবে বসার আগে মাইক পম্পেও ও জিনা হ্যাসপেল দুজনেরই সিনেট থেকে অনুমোদন লাগবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকের পদ থেকে টিলারসনকে অপসারণের প্রেক্ষাপট নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরেই ট্রাম্পের সুনজরে ছিলেন না টিলারসন। অপসারণের চেষ্টাও ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। নিজ পদে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। তবে, গেল সপ্তাহে ট্রাম্প যখন কিম জং উনের বৈঠকের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন তখন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সার্কেলের সঙ্গে টিলারসনের দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেসময় আফ্রিকা সফরে থাকা টিলারসন কিছুটা বিস্মিতই হয়েছিলেন।
টিলারসনকে বরখাস্ত করার ঘোষণায় ট্রাম্প মূলত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার নতুন পছন্দ মি. পম্পেওর ওপরই মনোযোগ দিয়েছেন। টিলারসনকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেন নি।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত লিখিত বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘সিআইএর পরিচালক হিসেবে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করেছেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের সামর্থ্য আধুনিকায়ন করেছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছেন। উভয় দলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।’ ট্রাম্প আরো লিখেছেন, ‘গত ১৪ মাসে আমি মাইককে ভালোভাবে জানার সুযোগ পেয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে গুরুত্বপূর্ণ এই সন্ধিক্ষণে এ কাজের জন্য তিনিই সঠিক ব্যক্তি। বিশ্বে আমেরিকার অবস্থান পুন-প্রতিষ্ঠায় আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন তিনি। মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবেন, বৈরীদের মোকাবিলা করবেন আর কোরিয়ান উপদ্বীপে পারমাণবিক বিকেন্দ্রীকরণে কাজ করবেন।’
আর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটে টিলারসনকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ট্রাম্প।