সালথায় আ.লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি, আহত ৪০

Slider ঢাকা

300544_182

 

 

 

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়গ্রুপের ২০টি বসত বাড়ি ভাংচুর করা হয়। শনিবার উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের গট্টি এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শর্টগানের ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরীর সমর্থক গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরু মাতুব্বরের সাথে গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওদুদ মাতুব্বরের সমর্থক আজমল খাঁর বিরোধ চলে আসছে। গত ৬ মার্চ গট্টি উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরীর অতিথি হিসাবে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে বাবলু চৌধুরী না আসায় স্কুলের শিক্ষার্থীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে কয়েকদিন উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।একপর্যায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াদুদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়। সংঘষর্ চলাকালে উভয় গ্রুপের ২০টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, এলাকার শান্তি-শৃংখলা নষ্ট করতে ইচ্ছে করেই পরিকল্পিতভাবে আমার লোকদের ওপর এমপির পুত্রের সমর্থক নুরু মাতুব্বর ও তার লোকজন হামলা চালায় এবং বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। নুরু মাতুব্বর বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সমর্থকদের সঙ্গে ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৮ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলিছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিবেশ শান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *