সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয়

213024hasinaPMO0100আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। এ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকালে খুলনার খালিশপুরে আইইবির খুলনা কেন্দ্রে ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বৈশ্বিক গ্রামে এককভাবে উন্নতি করা প্রায়ই দুঃসাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে আন্তঃমহাদেশীয়, আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগীতা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহান স্বাধীনতার মাসেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেটি হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ। এ কাজে আপনারাই হচ্ছেন অগ্র সৈনিক।

বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে আন্তঃগ্রীড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে উঠবে। আমরা ভারত থেকে ৫০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। পর্যায়ক্রমে এ আমদানির পরিমাণ একহাজার মেগাওয়াট হবে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।

উল্লেখ্য, সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিতে খুলনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে তিতুমীর নৌ-ঘাঁটির ভিভিআইপি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা অভিনন্দন জানান।এরপর খালিশপুরের ঈদগাহ ময়দানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিকাল ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে ৪৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

তারপর খুলনা সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। দ্বিতীয় দফা সরকার গঠনের পর শেষ মুহূর্তে তার এ সফর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের কাছে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করছে। উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যাশা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দাবি করা হচ্ছে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *