কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা!

Slider নারী ও শিশু

bodh-khun

 

 

 

 

 

কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় এক গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ওই গৃহবধূর নাম পূজা পন্ডিত (২৩)। তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন  শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাটোয়ার বরমপুর গ্রামে।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, বুধবার খুব সকালে তাঁর দেহ কাটোয়া হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে পৌঁছান। তাঁদের অভিযোগ, পূজাকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় মৃতার শ্বশুর কৃষ্ণ পণ্ডিতকে আটক করেছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।

কাটোয়ার টিকরখাঁজি গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ পণ্ডিতের মেয়ে পূজার তিনবছর আগে বিয়ে হয়েছিল বরমপুর গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল পণ্ডিতের সঙ্গে।

সুবোধবাবু জানিয়েছেন, দেখাশোনা করেই এবং বরপণ দিয়ে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন পূজা। তারপর থেকেই অশান্তি শুরু হয়।

জানা গেছে, পূজার স্বামী মঙ্গল পণ্ডিত অন্যরাজ্যে একটি দোকানে কাজ করেন। সুবোধবাবু বলেন, “আমার মেয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় আমার কাছেই এসেছিল। কন্যাসন্তান হওয়ার খবর শুনে তারা আর মেয়েকে নিতে আসেনি। প্রায় ১০ মাস পর আমরা পূজাকে শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে আসি। তারপর থেকে প্রায়ই নির্যাতন করত। তবু মেয়ে মুখ বুজে সব সহ্য করত।”

সুবোধবাবু আরও জানিয়েছেন, বুধবার খুব সকালে তাদের বরমপুর থেকে এক গ্রামবাসী ফোন করে খবর দেয় পূজা মারা গিয়েছে। খবর শুনে বরমপুর গ্রামে যায় পূজার পরিবার। কিন্তু সেখানে মেয়ের দেহ দেখতে না পেয়ে হাসপাতালে যান। মর্গ থেকে দেহ উদ্ধার করে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরমপুর গ্রামে পূজার শ্বশুরবাড়িতে পুলিশ গেলে সেখানে কৃষ্ণ পণ্ডিত ও পূজার দেড় বছরের মেয়েকে দেখা যায়। বাকিরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ শিশুটিকে তার মামাবাড়ির হাতে তুলে দেয়। কৃষ্ণ পণ্ডিতকে আটক করে। মৃতার বাবা এই ঘটনায় পূজার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দুই ননদ-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *