সাঘাটায় বাঙ্গালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন

Slider রংপুর

04

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাঙ্গালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় দুই প্রভাবশালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে এখন বিপুল অর্থের মালিক বনে গেছেন। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর গতিপথ ও যত্রতত্র গভীরতা হলেও এলাকাবাসী কোনকিছু বলার সাহস পায় না। উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনকে এব্যাপারে জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ তাদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে স্থানীয় আতিকুর রহমান আতিক ও বুলেট মিয়া দুটি ড্রেজার মেশিন বাঙ্গালী নদীতে বসিয়ে গত ৪ বছর থেকে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এতে যত্রতত্র ভাবে গভীরতার সৃষ্টি হওয়ায় ওই এলাকায় নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলা সদর বোনারপাড়া থেকে গোবিন্দগঞ্জ যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মহিমাগঞ্জ পাকা সড়ক সহ আবাদি জমি ও ঘরবাড়ী। একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বোচাদহ গ্রামের। এখানেও শ্যালো মেশিন বসিয়ে বাঙ্গালী নদী থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বোনারপাড়া-সান্তাহার রেলপথ হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে বালু উত্তোলনকারীরা অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কোন মহল থেকেই তারা বাধার মুখে না পড়ায় দিন দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে সে এলাকাটিকে বালু মহাল হিসেবে ঘোষণা করতে হয়। এজন্য প্রয়োজন হয় প্রশাসনিক অনুমোদনের। লীজ নিয়ে বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করা যায়। সেক্ষেত্রে পরিবেশের ক্ষতি হলে বালু উত্তোলন অনুমোদন বাতিল হয়। অথচ এসব নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে চলছে তাদের অবৈধ ব্যবসা।

এব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষের কাছে জানতে চাইলে বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলনের খবর জানেন না বলে জানান তিনি। তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *