ফেসবুক যুগের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে এখন মুক্তি কামনা

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

ফেসবুক(1)

যে সমাজে অভদ্র, দুশ্চরিত্র,ভুয়া ও ধান্দাবাজমানুষ গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে; সেই সমাজে ভালো মানুষ গুলোর অবমূল্যায়ন করা হয়। মূলত,একথা অসংখ্য জ্ঞানী গুণীজন শত সহস্রবার বলে গেছেন।

আগেরকার যুগেএকটা সময় উপরোক্ত নেতিবাচক চরিত্রের মানুষ গুলোর দুশ্চরিত্রওরূঢ়স্বভাব সমাজের সর্বত্রে পরিলক্ষিত,প্রতীয়মান ও সহজেই অনুমেয় হত।

যদিও এখন সেসব নেতিবাচক স্বভাবের মানুষদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যতা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে উপস্থাপন হচ্ছে।

এখনকার এই আধুনিক যুগে বহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাব ঘটেছে। তবে একথা নিঃসংকোচে স্বীকার করতেই হবে যে, এপর্যন্ত যতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আগমন ঘটুক না কেন; তবে তন্মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন পর্যন্ত ফেসবুক।

 

বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে ফেইসবুক আজ সর্ববৃহৎ সামাজিক নেটওয়ার্ক ।  এইনেটওয়ার্ক এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, যাবতীয় সামাজিক যোগাযোগ ছাড়াও অনলাইন মার্কেটিং এবং বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এটিকেই বেছে নেয়া হয়।সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক আজ প্রতিষ্ঠিত।

তবে আজকাল ফেসবুকে দুষ্ট লোকের মিষ্ট স্বভাব চরিত্রের মানুষদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গেছে একথাও অনিস্বীকার্য।

সামাজিক যোগাযোগের এই অনন্য মাধ্যম এখন যতটা না সৎ, আদর্শবান ও নীতিবান মানুষ ব্যবহার করছেন তার চেয়ে শত গুন বেশি অসৎ মানুষগুলো ব্যবহার করছেন।

তবে অতীতে একটা সময় ঠিকই সব ধরনের চিন্তা,চেতনা ও আদর্শের মানুষ গুলোই ব্যবহার করতেন; কিন্তু এসব সামাজিক মিডিয়াতে যখন অসৎ, ভুয়া, দুশ্চরিত্র ও লম্পটদের দৌরাত্ম বাড়তে শুরু করলো; ঠিক তখনই ধীরে ধীরে সৎ, আদর্শবান ও নীতিবান মানুষগুলো ফেসবুক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

বর্তমানে ফেসবুকে এমন কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে কিছুসংখ্যক ভুয়া ও অদক্ষ সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের অসহ্য ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

 

ফলে প্রকৃত নিয়ম-নীতিতে বিশ্বাসী ও আদর্শবান ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ফেসবুক যুগের এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে এখন মুক্তি চায়।

 

লেখকঃআ,হ,জুবেদ

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *