‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে এত আশঙ্কা কেন, ভয় কেন?’

Slider রাজনীতি

291863_197

 

 

 

 

একাদশ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে সরকার ‘ফাঁকা মাঠে গোল’ দিতে চাইলে জনগণ তা গ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়ার পর গত রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব এক তাৎণিক প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে মিথ্যাচার করেছেন। এমন কতকগুলো কথা বলেছেন যার সাথে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলছেন, নির্বাচন ঠেকে থাকবে না বলেছেন। এর সাথে তার অভ্যাস আছে, অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন তারা করেছেন সেখানে ৫ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে আসেনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, খালেদা জিয়া নির্বাচন না করলে এদেশে নির্বাচন কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে যারা নির্বাচন করতে চান, তারা মূলত একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চান। তারা একতরফা নির্বাচন করতে চান, যা এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আবারো ওই একতরফা-একদলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছেন এবং সেভাবে একটা নীলনকশা করেছেন। সেই নীলনকশা অনুযায়ী দেশনেত্রীকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা সম্পূর্ণ ভুয়া নথি তৈরি করে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক চাপিয়ে তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এভাবে ছলচাতুরী করে দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করে আর যাই করা যাক, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ‘৭ ধারা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ৭ ধারায় ছিল পিও প্রেসিডেন্ট অর্ডার-৮, যেটা ১৯৭২ সালে করা হয়েছিল। সেই ধারা এখন নেই, এটা এখন বাতিল হয়ে গেছে। সেই বিধি মোতাবেক দণ্ডিত ব্যক্তি দলের কোনো পদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, দলের প্রধান হতে পারবে না। আজকে একটা কথা মানতে হবে যে, এই দণ্ডটা কারা দিয়েছে? একটি আদালত এই দণ্ড দিয়েছে, সেই আদালত কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে। ৭ ধারায় পরিবর্তনটা কী হয়েছে?

সমাজের স্বীকৃত কোনো ব্যক্তি যদি হয়ে থাকেন- সেটা এখনো আছে। সুতরাং মেজর কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন, আমি একটা বিষয় বুঝতে পারি না যে, বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে কে প্রধান হলো, আর না হলো এ নিয়ে উনাদের এতো মাথা ব্যথা কেন, উনাদের এতো আশঙ্কা কেন? আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে তাদের (সরকার) এত আশঙ্কা কেন, ভয় কেন?

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অটোমেটিক্যালি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। এটা তাদের (অর্থাৎ সরকারের) বিষয় নয়। বিষয়টা আমাদের। এ ব্যাপারে আমাদের কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খালেদা জিয়ার রায়ের কপি পাওয়ার পর পরবর্তী পদপে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আইনগত দিক বলতে পারব না। এটা আইনজীবীরা জানেন। তবে অবশ্যই আপিল করা হবে। আশা করি এই সপ্তাহে আপিল ফাইল করা হবে।

মির্জা ফখরুল প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *