জাতীয় সংসদকে বিশ্ব মানে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিপিএ’র চেয়ারপার্সন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন’র (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। তারা বলেছেন, ৫ জানুয়ারী নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্র থাকতো না।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্টের মেম্বরস ক্লাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপিজেএ সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী। বক্তৃতা করেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, বিপিজেএ’র সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজানুল হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক কামরান রেজা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক নিখিল ভদ্র। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আশীস সৈকত।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পাল্টা প্রশ্ন করেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্র কোথায় যেত? তিনি বলেন, আইনি কাঠামোর মধ্যেই ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ছে। আমাদের গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধান আছে। ফলে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।
সিপিএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, এই বিজয় দেশের ১৬ কোটি মানুষের এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের বিজয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দশম সংসদ গঠিত হয়েছিল বলেই দুটি আন্তর্জাতিক ফোরামে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীতে তরুণ সংসদ সদস্যদের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করবো। নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতাসহ সকল ইস্যুতে বাংলাদেশে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নই প্রধান লক্ষ্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের এই বিজয়ে আমাদের দায়িত্ব বহুগুণ বেড়েছে। বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্বের ১৮৫টি সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের ৬৫০ কোটি মানুষের প্রতিনিধি এই দুটি সংস্থার ৪৫ হাজার সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বাংলাদেশ। এখন জাতীয় সংসদকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। আর কাজটি করতে রাজনৈতিক দলের কমিটমেন্ট ও সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ তারাই সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে সংসদের সক্ষমতা বাড়ানোই তার মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।