তড়িঘড়ি করে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেছেন এক সময়ের ক্রিকেট ময়দানের হার্টথ্রব এবং বর্তমানে রাজনীতির ময়দানের আলোচিত রাজনীতিবিদ ইমরান খান। তার এই বিয়ের খবরটি ছড়ায় সংবাদমাধ্যমে। পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমেই বলা হয়, গোপনে বিয়ে করেছেন একসময়ের পাকিস্তান ক্রিকেটের কিং খান। যাকে বিয়ে করেছেন সেই নারী আধ্যাত্মিক বিষয়ে জড়িত। লাহোরেই এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ডনের আরেক প্রতিবেদনে খবরের সত্যতা কিছুটা ফিকে হয়ে এসেছে। তার বিয়ে করার খবরটিকে গুজব বলা হচ্ছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, পার্টির চেয়ারম্যান বিয়ে করে ফেলেননি। তবে তিনি বুশরা মানেকা নামের এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার পছন্দের ওই নারী পাকপাত্তানের একজন শ্রদ্ধাভাজন পীর।
পার্টির চেয়ারম্যানের সেক্রেটারিয়েট থেকে ইস্যুকৃত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, মানেকা ইমরানের প্রস্তাব পেয়েছেন এবং তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে সময় চেয়েছেন। তিনি তার পরিবার এবং সন্তানদের সাথে কথা বলবেন।
৪০ এর কোঠায় রয়েছেন বুশরা। তিনি ওয়াত্তো বংশ থেকে এসেছেন। মানেকা ওই বংশেরই একটি শাখা। তার বিয়ে হয়েছিল খাওয়ার ফরিদ মানেকার সঙ্গে। তিনি ইসলামাবাদে সিনিয়র কাস্টমস কর্মকর্তা ছিলেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এমন ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে এমন কানাঘুঁষা সত্যিই দুঃখজনক বিষয়। এটা নিয়ে এত গল্পের কোনো দরকার নেই। এমন এক নারীকে নিয়ে গল্প ফাঁদা হচ্ছে যিনি অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং জনসমক্ষে আসেন না। সংবাদমাধ্যমগুলো ইতিমধ্যে মানেকা এবং ইমরানের সন্তানদের ওপর ব্যাপক মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। যদি মানেকা ইমরানের প্রস্তাব গ্রহণ করেন, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট ক্যাপ্টেন ও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের প্রথম স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁর নাম জেমেইমা। যার সঙ্গে ৯ বছর সংসার করেন। ২০০৪ সালের ২২ জুন তাকে তালাক দেওয়ার পর ইমরান দ্বিতীয় বিয়ে করেন রেহাম খানকে। ১০ মাসের মধ্যেই সেই বিয়েও ভেঙে যায়।
সূত্র : ডন