আমাকে বাঁচতে দিন : প্রভা

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

142758

 

 

 

 

অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন ছোট পর্দায়।

কিন্তু নিন্দুকেরা পিছু ছাড়ছেন না। পেছন থেকে ল্যাং মারার জন্য সদা প্রস্তুত। বন্ধুবেশী নিন্দুকেরা যেন সুযোগসন্ধানীও। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রভা শনিবার নিজের ফেসবুকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি সাদিয়া জাহান প্রভা। জীবনে কোনোদিন মাদক সেবন করি নাই। টাকা বা কাজের বিনিময়ে কারো সাথে রাত কাটাই নাই। সজ্ঞানে কোনোদিন কারো ক্ষতি করি নাই। একটা সুশিক্ষিত পরিবারের সন্তান আমি।

জীবনে অনেক বড় বড় পরীক্ষা দিয়েছি কিন্ত হার মানিনি। কারণ আমি নির্দোষ তাই। ‘

প্রভা বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ভ্রান্তধারণাগুলো বন্ধ করুন। খুবই সাধারণ জীবন আমার। আজকে অনেক অসহায় হয়ে আমার নিজের জীবনের স্টেটমেন্ট দিলাম। বাঁচতে দিন আমাকে। ‘

এর আগে ২৭ ডিসেম্বর প্রভা আরো একটি স্ট্যাটাসে বেশকিছু কথা লিখেছেন। যা থেকে বোঝা যায় তিনি মানসিক পীড়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রভা বলেন, একটা পছন্দের বস্তু অনেকদিন নাড়াচাড়া না করলে যে রকম ধুলো জমে যায়, অভিমান হলো সেই ধুলোকণা। ঠিকমত যত্ন না নিলে সেখানে ধুলো তো জমবেই। যখনই জমতে শুরু করবে সাথে সাথে মুছে ফেলতে হয়।

এই ধুলোগুলো বাড়তে শুরু করলে তখন সেটা অভিমান থেকে অভিযোগ হয়ে যায়। অভিযোগের ভেতরে এক ধরনের জবাবদিহিতা থাকে, সূক্ষ্ম একটা প্রতিরোধ থাকে।

জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, অভিযোগ যখন ন্যায়বিচার পায় না তখনই জন্ম হয় রাগের। যে রাগের বহিঃপ্রকাশ আছে সেই রাগ কমে যায় আর যে রাগের কোনো বহিঃপ্রকাশ নেই; ভেতরে ভেতরে জমতে শুরু করে- সেই রাগ থেকে জন্ম হয় ক্রোধের।

ক্রোধ খুব সাংঘাতিক জিনিস। একজন রাগান্বিত মানুষ যদি আপনাকে খুন করে ফেলে তখন সেটা সে রাগের মাথাতেই করে কিন্তু একজন ক্রোধে আক্রান্ত কেউ যদি আপনাকে খুন করে- তখন সেটা সে ঠাণ্ডা মাথায় করে।

তিনি বলেন, আপনার ওপর কারো একবার ক্রোধ জন্ম নিয়ে ফেললে সেটা কেবল ঘৃণাই জন্ম দেবে; অন্য কিছু না। সব কিছুরই দুটো দিক থাকে; সুন্দর এবং অসুন্দর। অভিমান থেকে জন্ম নেওয়া ঘৃণা হচ্ছে সুন্দর ঘৃণা! এই যে রাগ, অভিযোগ এসবই তো ভালোবাসার উপাদান। ক্রোধের আগুনে না পুড়লে সেটা কখনো ঘৃণা হতো না।

প্রভার মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে আগমন ঘটে। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করার পর তিনি কয়েকটি খণ্ড নাটকে অভিনয় করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *