চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি।
পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তির নাম কেতু হোসেন। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে। বাবার নাম শওকত মোল্লা। স্থানীয় বাউল সংগঠক জাকির হোসেন ও গাফ্ফার কবিরাজ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে ছয়টি বোমা, ছয়টি ধারালো অস্ত্র, একটি ওয়ান শুটারগান ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হকের ভাষ্য, আলোকদিয়া কানাপুকুর এলাকায় সন্ত্রাসীরা গোপন বৈঠক করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে এএসপি সদর সার্কেল আহসান হাবীবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা। নিহত ব্যক্তিকে কেতু বলে শনাক্ত করেছেন স্থানীয় লোকজন।