বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ ২ (দুই) দিন ব্যাপি “বারি প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মশালা-২০১৭”

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি ঢাকা

s34-maize-improvement-in-bangladesh-1-728

 

 

 

 

 

 

আকাশ জাহাঙ্গীর , গাজীপুর অফিসঃ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে ২ (দুই) দিন ব্যাপি “বারি প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মশালা-২০১৭” শুরু হয়েছে। বিএআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনসহ গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মীদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়গুলো কর্মশালায় অধিকতর গুরুত্ব পাবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার দানা জাতীয় শস্য, কন্দাল, সবজি, ডাল, তৈলবীজ, ফল ও অন্যান্য ফসলের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি/তথ্য হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করাও এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ২০৮ টিরও বেশি ফসলের ৫১২ টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৪৮২ টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এযাবৎ ৯০০ টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে এগুলো দ্রুত কৃষক পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, এনজিও কর্মী, বেসরকারী সীড কোম্পানী ও কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে তোলাই এ কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য।

উক্ত কর্মশালায় ০৪ (চার) টি ক্যাটাগরি অধিবেশন যেমন ঃ (১) উদ্ভাবিত ফসলের উন্নত জাত (২) ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি (৩) ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি (৪) ফার্ম মেশিনারী ও শস্য সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি সম্পর্কিত উপস্থাপনা করেন যথাক্রমে ড. মো. লুৎফর রহমান, পরিচালক (গবেষণা), ড. মো. নুরুল ইসলাম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কৃষিতত্ত্ব বিভাগ), ড. সৈয়দ নুরুল আলম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কীটতত্ত্ব বিভাগ), জনাব মো. শোয়েব হাসান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন)।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান জনাব মো. নাসিরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে আর জমির পরিমান কমছে। জনসংখ্যা বাড়ার ও জমি কমার হার কিন্তু সাংঘাতিকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবু নতুন শিশু প্রতি বছরে জম্মাচ্ছে। প্রায় ৬৮ হাজার হেক্টর জমি চাষযোগ্য আওতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। ১৬ কোটি মানুষের খাওয়ানোর দায়িত্ব এই কৃষি মন্ত্রণালয় সার্থকভাবে পালন করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বড় ধরনের ভূমিকা আছে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রানী বণিক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক জনাব মো. আব্দুল আজিজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএআরআই এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. পরিতোষ কুমার মালাকার।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নার্সভূক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিএডিসি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও ও কৃষিসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা/বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং কৃষক প্রতিনিধিসহ প্রায় ২০০ জন অংশগ্রহণ করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *