বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তুরস্ক পাশে থাকবে

Slider জাতীয়

195127hasina-binali

 

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম আজ দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক স্বার্থে একযোগে কাজ করা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

দুই নেতা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোসহ দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং পরস্পরকে সমর্থন করার অঙ্গিকারও পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সফররত তুর্কী প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম আজ এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মামুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।

তুরস্কের পক্ষে ছিলেন-উপ-প্রধানমন্ত্রী ও তুর্কি-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের কো-চেয়ার বেকির বোজাগ ও বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক প্রমুখ।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম দুই দিনের সরকারি সফরে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তুরস্ক পাশে থাকবে।

তিনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে খুবই সুদৃঢ় ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্কের গণতন্ত্র ও সরকারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের কথা তুরস্ক ভুলে যায়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় ও অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ইস্যুতে খুবই ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোসহ দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং পরস্পরকে সমর্থন করার অঙ্গিকারও পুনর্ব্যক্ত করেছি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, পর্যটন ও যোগাযোগের মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতা সংহত করার ব্যাপারেও তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই), শিল্প উৎপাদন, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, সামর্থ্য বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময় ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য বিনালি ইলদিরিমকে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *