গাজীপুর সাইনবোর্ডে তীব্র যানজট,ফ্লাইওভার,হকার ও অটোর দখলে মহাসড়ক

Slider গ্রাম বাংলা

IMG_20171215_163533

 

 

 

 

 

 

 
তুহিন সারোয়ারঃ-গাাজীপুর সাইবোর্ড বাসস্ট্যন্ড এলাকায় শুধু যানজট বললে ভুল হবে, বাসের ভিড়ে পথচারীদের হাঁটার মতোও জায়গা থাকে না। ভুক্তভোগিদের মতে, পুলিশ যানজট নিরসন করতে হিমসিম খাচ্ছে। ঢাকা ময়মনসিংহ রোড়,গুর”ত্বপূর্ণ মহা সড়কের এলাকা হলেও সাইবোর্ড বাসস্ট্যন্ডের নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের কাজ করার কারন এবং হকারদের ভ্যান গাড়ি, ঠেলাগাড়ির উপর হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে রাস্তার বেশিরভাগ অংশ দখল, বাকী যতোটুকু খালি আছে তা অটোরিক্সার দখলে। সাথে আরও আছে  ভাঙাচোরা রাস্তা।

সব মিলিয়ে এলাকাবাসী,পথচারী,বাসের যাত্রীদের অবস্থা নাজুক। আগে কিছুটা যানজট কম হলেও কিছুদিন যাবত রাস্তার কাজ চলছে জোড়েসোড়ে তাই ফ্লাইওভারের মুখে যানজট লেগেই থাকে। এরপর খানাখন্দের রাস্তা পার হয়ে ভোগড়া চৌরাস্তায় এসে আবার যানজট। এখানে কোন গাড়ি কোনদিকে যাবে তার কোনো নির্দ্দিষ্ট গতিপথ নেই বললেই চলে।

ট্রাফিক পুলিশ মোড়ে ডিউটি করলেও তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাইপাস থেকে সিলেট দিকে যে রাস্তাটি গেছে তার বেশিরভাগ দুই অংশ দখল করে রেখেছে হকাররা। ভ্যান গাড়ি, ঠেলাগাড়ির উপর হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে অন্য পাশে ট্রাক পিকআপের স্ট্যান্ড। বাকী অংশে দাঁড়িয়ে থাকে বাস। ভোগড়া চৌরাস্তায় এসে আবার যানজটের ভয়াল রূপ। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দুর পাল্লার গাড়ির দীর্ঘ সারি নিমিষেই ভয়াবহ যানজটে রূপ নেয়।

সাইনবোর্ড স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, সাইনবোর্ড যানজট মনুষ্য সৃষ্টি।এমনিতেই নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের কাজ চলছে তারপর পরিবহন শ্রমিক,অটোরিক্সা আর হকাররা মিলে পুরো এলাকার রাস্তা দখল করে রাখে। দিনে এমনকি রাতেই একই অবস্থা থাকে। এগুলো নিয়ে কথা বলার মতো কেউ নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ভ্রাম্যমান হকারদের যদি নিয়ন্ত্রণ করা যেতো তাহলে এতোটা খারাপ অবস্থা হতো না। এদিকে ট্রাফিক বিভাগের কর্ত্যরত একাদিক ব্যাক্তিদের যানজটের বিষয়ে ফোন করে জানতে চাওয়া হলে তারা যানজট নিরসনে ব্যাস্ত থাকায় কেউ কথা বলার মত সময় দিতে পারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *