খাদ্য ও ইন্টারনেটের অধিকারকে আইনে রূপ দিন : তথ্যমন্ত্রী

Slider রাজনীতি

inu-1-2

 

 

 

 

 

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খাদ্য অধিকার আইন ও ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আইনে রূপ দেয়ার মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচনের সদর দরজা উন্মুক্ত হবে।

আজ রবিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ আয়োজিত ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে আমাদের করণীয়’ জাতীয় কনভেনশনের ‘সামাজিক নিরাপত্তাজাল কর্মসূচির ভূমিকা’ শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখন খাদ্য ও ইন্টারনেটের অধিকারকে আইনে পরিণত করার সময় এসেছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতে আইন রয়েছে। আমাদের দেশেও এ আইন প্রয়োজন।

বর্তমান বিশ্বকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্ব বর্ণনা করে তিনি বলেন, ইন্টারনেট হচ্ছে প্রযুক্তির বাহন। প্রতিটি মানুষের ক্ষমতায়নে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আবশ্যক। তাই ইন্টারনেটের অধিকার আজ একটি মৌলিক অধিকার। একারণেই খাদ্য অধিকার আইন ও ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আইনে রূপ দেয়ার মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচনের সদর দরজা উন্মুক্ত হবে।

জাতীয় সংসদের মানবাধিকার সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারপার্সন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে চরজীবনযাত্রা সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারপার্সন আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলম, নারী আন্দোলন নেত্রী মাজেদা শওকত আলী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ প্রমুখ।

সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের মহাসচিব শিশির শীলের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা এবং শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে তিনি সমাজতন্ত্র রেখেছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। অতীতের সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক শাসকেরা তা কেটে লাগামহীন বাজার অর্থনীতির কাছে দেশকে ইজারা দিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সামনে রেখে স্বাধীন বাংলাকে আমাদের দারিদ্র্যমুক্ত করতেই হবে উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ঔপনিবেশিক, পাকিস্তানি, সাম্প্রদায়িক ও সামরিক শাসনের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যে সামাজিক কাঠামো দারিদ্র্য উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন করে, তা ভেঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্যই শেখ হাসিনার সরকার নিরাপত্তাজাল তৈরি করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধি, দারিদ্র্যশূন্যতা ও নারী-পুরুষ সমতার টেকসই উন্নয়নে সরকার কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *