মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
১৮ বছর অতিক্রম করলেও জোড়দার হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রায় সাড়ে পাচ হাজার শিক্ষার্থীর বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস অরক্ষিত। বিচ্ছিন্নভাবে প্রায় ৫৭ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত বিশ^বিদ্যালয়ে রযেছে ৫টি গেট, ৩টি একাডেমিক ভবন, ৫টি হল, প্রসাশনিক ভবন, ভিসির বাসভবন, অতিথি ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমেটরী এবং ৩য়-৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ডরমেটরী। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয়ের ভিতরে রয়েছে ভাসানীর মাজার, ৫টি পাবলিক রাস্তা, ২টি প্রাইমারী স্কুল, ২টি হাইস্কুল, ১টি কলেজ, ১টি কেজি স্কুল, ১টি হেফজ খানা এবং ১টি স্থানীয় মন্দির। বিশ^বিদ্যালয়ের পাশেই সন্তোষ বাজার অবস্থিত হওয়ায় এলাকার জনগণ বিশ^বিদ্যালয়ের রাস্তাগুলো ব্যবহার করে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুকরন করতে গিয়ে তৈরি করে বিশৃঙ্খলা।
তিন বছর আগে শুরু করা সীমানার প্রাচীর নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। প্রাচীরগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যার নিচ দিয়ে কেও অনায়াসে বিনা বাধায় যাতায়াত করতে পারে, বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অরক্ষিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয় এবং ঘটে চুরির ঘটনা। গত ১২ এপ্রিল বহিরাগত হামলার স্বীকার হয় গণিত বিভাগের রাগিব আলম রানা এবং এরপর ২ অক্টোবর রসায়ন বিভাগের মোখলেছুর রহমান মুহিত। এছাড়াও সম্প্রতি ৩টি পানি তোলা মটর, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হলে ৫৬টি ফ্যান, ভিসির বাসভবনে সহ বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটে।
এত সমস্যার মাঝে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রহরী মাত্র ৩০ জন যেখানে প্রহরী প্রয়োজন নূন্যতম ৭৫ জন। ৮ ঘন্টার রুটিন ডিউটিতে ৬ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে অভার টাইম করালেও বিভিন্ন জায়গা থেকে যায় নিরাপত্তা প্রহরী শূন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী কম হওয়ায় অভার টাইম অনেকটাই আমাদের উপর জোড় করেই চাপিয়ে দেয়া হয়। যেখানে অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী অভার টাইম পায় ৪০০-৫০০ টাকা, আমরা পাই ১৪৪ টাকা।
সংশ্লিষ্টদের ধারনা, স্থানীয় জনগণের জন্য ডাইভারশন রাস্তা নির্মাণ, নিরাপত্তা প্রহরী বাড়ানো এবং বিশ^বিদ্যালয়ের ভিতরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর স্থানান্তর করলে নিরাপত্তা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ডাইভারশন রাস্তার পরিকল্পনা করেছি। আমরা ইউ.জি.সিতে ৩০ জন আনসারের চাহিদা দিয়েছি, এখনও অনুমোদন হয়নি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।