গাজীপুর ছাত্রদলের দেড় যুগ। বাবা-ছেলে দুই জনই ছাত্র দল নেতা হতে পারেন

Slider রাজনীতি

23845440_1995704014009973_667849987_n

 

 

 

 

 

 

 

 

সোলায়মান সাব্বির, গাজীপুর অফিস :  বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সর্বশেষ কাউন্সিল কবে হয়েছিল তা স্পষ্টভাবে অনেকেই জানেন না। তবে বিভিন্ন নেতার দেয়া তথ্যমতে এই কমিটির শেষ কাউন্সিল হয়েছিল প্রায় দেড় যুগ আগে। যারা ছাত্র দলের নেতা হয়েছিলেন তাদের ছেলেরাই এখন বাবার স্থানে আসতে পারলেও   বাবা এখনো ছাত্রদল নেতা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০০ বা ২০০১ সালের দিকে গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সহ জেলার অভ্যন্তরে বিভিন্ন  ইউনিটের কমিটি গঠন হয়। সেই কমিটিতে যারা নেতা হয়েছেন তারা এখনো ছাত্রদলের নেতা। দীর্ঘসময় ধরে ছাত্রদলের নেতা থাকাকালীন সময়ে অনেক নেতা ছাত্রদলের নেতা থাকা অবস্থায় মুল দলের পদেও চলে আসছেন তবুও যাচ্ছে না ছাত্রদলের পদ। আবার অনেক ছাত্রদল নেতা, ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় মুল দল থেকে  জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে গেছেন তবুও যায় না ছাত্রত্ব। অনেকে ছাত্রদলের নেতা থাকা অবস্থায় যুবদল, মুলদল সহ বিএনপির বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা হয়ে গেছেন। তবুও ছাড়া হচ্ছে না ছাত্রদলের নেত্রীত্ব।

এদিকে অনেক ছাত্রদলের নেতা বিয়ে করেছেন। সংসার করছেন। লেখাপড়া শেষ করে কর্মস্থলেও প্রবেশ করেছেন। এমনো ছাত্রনেতা আছেন, যার বয়স এখন ৫৫ বছর। তবুও তিনি ছাত্রদল নেতা। অনেক নেতাদের ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেছে। তারাও ইচ্ছে করলে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে নেতা হয়ে বাবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারেন। কিন্তু সন্তান ছাত্রদলে যোগ দেয়ার পর দেখা যাবে বাবা-ছেলে দুই জনই ছাত্রদল নেতা কারণ বাবার ছাত্রত্ব ও ছাত্রদল নেতার পদ এখনো বর্তমান।

এ ছাড়া গাজীপুর জেলার ৬টি থানা নিয়ে গঠিত হয়েছে ৫টি উপজেলা। নতুন হয়েছে গাজীপুর মহানগর। মহানগরের ৫৭টি ওয়ার্ড বিদ্যমান। গাজীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল না হওয়ায় পুরাতন কমিটি এখনো কার্যকর। তাই নতুন ইউনিট গুলোর কমিটি হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

ত্যাগী নেতা কর্মীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রদল, যুবদল, জাসাস, জিসাস সহ বিএনপির বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল হয়নি । তাই অনেক নেতা-কর্মীরা এখন অকার্যকরের মত হয়ে আছেন। বিএনপির এ সকল অংগ সংগঠনের অনেক নেতা কাংখিত মূল্যায়ন না পেয়ে সরকারী দলের সঙ্গে গোপনে আঁতাতও করছেন। অনেকে  সরকার সমর্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে অলিখিতভাবে যুক্ত হয়ে লাভজনক পদও পাচ্ছেন। জীবন জীবিকার তাগিদে ও যথাযথ মূল্যায়ন না পেয়ে তারা পথচ্যুত হচ্ছেন বলেই মনে করছেন সাধারণ কর্মীরা।

বিএনপির দলীয় একটি সূত্র বলছে, জেলায় আভ্যন্তরীন কোন্দল দলীয় কাউন্সিল গুলোকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। নতুন কমিটির নেতারা যেন নিজের পন্থী কর্মী হয়, সেই জন্য গাজীপুর বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা সবসময় সক্রিয় রয়েছেন। ফলে নিজের দল ভারী করতে গিয়ে দলের ক্ষতির কারণ হচ্ছেন গাজীপুর বিএনপির একাধিক নেতা । তবে গাজীপুরে যে সকল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কারণে কাউন্সিল হচ্ছে না, তাদের বিষয়ে কেন্দ্রিয় বিএনপি অবহিত বলে জানায় দায়িত্বশীল সূত্র।

এই অবস্থা চলতে থাকলে সহসাই গাজীপুরে ছাত্রদল সহ বিএনপির অংগ ও সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনা কম। এতে দলের সাংগঠনিক শক্তি কমে যাবে দিন দিন বলে ধারণা বিএনপি কর্মীদের।

এ  বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউং এর একটি সূত্র বলছে, গাজীপুরে সকল কাউন্সিল অচিরেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে সরকার বিরোধী আন্দোলন বেগবান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *