দুই বছর ধরে বন্ধ কামালপুর স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি

Slider বাংলার সুখবর

124802jamalpur_kalerkantho_pic

 

 

 

 

ভারতীয় বন বিভাগের ছাড়পত্র না পাওয়ায় দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালপুর স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এলসি করা প্রায় শত কোটি টাকার পাথর আটকা পড়ে আছে ভারতে।

ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের ৫ হাজার শ্রমিক।

বকশীগঞ্জের কামালপুর স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জের কামালপুর স্থলবন্দর হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে আসছিল। তন্মধ্যে এ বন্দর হয়ে আমদানি করা পাথর দিয়েই বাংলাদেশের সিংহভাগ পাথরের চাহিদা পূরণ হতো। কিন্তু গত প্রায় দুই বছর আগে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার অজুহাতে ছাড়পত্র না দিয়ে ভারতের বন বিভাগ পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বন্দরে। বেকার হয়ে পড়েছে বন্দরে কাজ করা প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। এ ছাড়াও বন্দরের প্রায় ২ শতাধিক আমদানিকারকের এলসি করা প্রায় শত কোটি টাকা আটকে পড়ে আছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে।

ফলে ব্যাংক ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

অপরদিকে বন্দরের শ্রমিক সখিনা বেওয়া, আলেহা ভানু, নুর ইসলাম মিয়া, নিরঞ্জন ও ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রায় দুই বছর যাবত কোনো কাজকর্ম না থাকায় অতি কষ্টে দিন কাটছে এ বন্দরের প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের। তারা আরো বলেন, ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের। অনেক শ্রমিক বিভিন্ন এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বন্দর ছেড়ে যাবার উপক্রম হয়েছে।

আমদানিকারক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেছ রিপন জানান, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বসে বসে ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরী প্রয়োজন।

এ বিষয়ে কামালপুর স্থলবন্দর আমদানিকারক সমিতির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত কথাবার্তা চলছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে। আবার সচল হয়ে উঠবে কামালপুর স্থলবন্দর।

এ ব্যাপারে কামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুই বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। ব্যবসায়ীদের এলসি করা প্রায় ১০ হাজার মে.টন পাথর আটকা পড়ে রয়েছে। তবে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ চলছে। ছাড়পত্র পেলেই বন্দরের পরিবেশ আবার সচল হয়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *