গাজীপুরে আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের ত্রিমুখী লড়াই

Slider বাংলার মুখোমুখি

 

23760023_823297094509969_703877735_o

 

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর ব্যুরো: আসন্ন গাজীপুর সিটিকরপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে তিন জন। ফলে বেঁধে গেছে ত্রিমুখি লড়াই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত নির্বাচনে বিজয়ী মেয়রের নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। তিনি বিলপ্ত টঙ্গী পৌরসভার একাধিকবার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। গাজীপুর আওয়ামীলীগ সহ কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের সঙ্গে তার যোগাযোগ ভাল। জনগনের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা চমৎকার। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও জ্ঞানী রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বজন গ্রহনযোগ্য। আওয়ামীলীগের আজমত পন্থী নেতা-কর্মীরা বলছেন, আজমত উল্লাহ খানকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি মেয়র হতে পারবেন। আর মেয়র হলে গাজীপুর মহানগরের উন্নয়ন হবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ার আরো বেগবান হবে।

আওয়ামীলীগের আরেক প্রার্থী হলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান। গাজীপুর সিটির প্রথম নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও দলীয় সভানেত্রীর মধ্যস্থতায় প্রতীক পাওয়ার পর আজমত উল্লাহ খানকে সমর্থন করেন। বর্তমানে তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির সঙ্গে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগ, জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন প্রাপ্তীর বিষয়ে অনেকটা আশার সঞ্চার করে বলে দলীয় কর্মীরা মনে করছেন। তিনি মেয়র হলে মহানগরের উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলে দাবি তাদের।

মেয়র পদে আরেক প্রার্থী মোঃ কামরুল আহসান সরকার রাসেল। তিনি গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক। যুবলীগের কেন্দ্রিয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর মাধ্যমে শেখ পরিবারের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক দাবী করে তার সমর্থকেরা বলছেন, রাসেল সরকার মনোনয়ন পেলে মেয়র হয়ে গাজীপুর মহানগরকে উন্নত নগরে পরিনত করবেন এমন আশা তার অনুসারীদের।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী তিনজনই ভাল মানুষ। তারা প্রত্যেকেই মেয়রের যোগ্য। গাজীপুর মহানগরের জনগনের মধ্যে যারা আওয়ামীলীগ করেন তারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। নৌকা যিনিই পাবেন তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তারা। তবে দলীয় কোন্দল না থাকলে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করা সহজ হবে বলে তাদের ধারণা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *