স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে ভারত বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি আঞ্চলিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ শুক্রবার রাশিয়ার মস্কোতে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের যক্ষ্মা নির্মূল করণীয়’ শীর্ষক এক সাইট ইভেন্টে বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান।
গ্লোবাল কোয়ালিয়েশন এগেইনেস্ট টিবির সহায়তায় ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ইভেন্টের আয়োজন করে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চল থেকে যক্ষ্মা দূর করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আন্ত:দেশীয় সমন্বিত ব্যবস্থপনা প্রয়োজন। একই নীতি ও সহায়ক ব্যবস্থাপনা গ্রহণে এ আঞ্চিলক কমিটি ভূমিকা রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে যক্ষ্মা সংক্রমণের ঝুঁকিরোধে সীমান্ত এলাকায় যক্ষ্মা সনাক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের সংক্রামক রোগের বিস্তার পাশের দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সীমান্তে যক্ষ্মা আক্রান্তদের চিহিৃত করার ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গার অনেকের মধ্যে যক্ষ্মার প্রকোপ রয়েছে এ তথ্য উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে যক্ষ্মা যেন ছড়াতে না পারে সরকার সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংক্রামক রোগের দ্রুত চিকিৎসার পাশাপাশি সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তিনি আঞ্চলিক সহায়তা কামনা করেন।
পরে ‘এন্ডিং টিউবারকিউলসিস ইন দ্য সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট ইরাঃ এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যক্ষ্মা নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা সনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও পূনর্বাসনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় বাংলাদেশ থেকে এই রোগ নির্মূলে কাজ হচ্ছে। টিবি রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত ছয় মাস কোর্সের ওষুধ ‘এমডিআর’ আজ বিশে^র ২৪টি দেশে সফলভাবে চালু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এন্ডিং টিবি কর্মসূচির প্রতিনিধি জন ওয়াটসনের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বেলারুশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভ্যালেরি ম্যালাশকো, দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিউনঘু, ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নগুয়েন থি কিম তিয়েন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।